সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম। কিন্তু তার এমন মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কোন শোক সভা কিংবা দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়নি। এমনকি জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা নজরুল ইসলামের জানাযাতেও উপস্থিত হননি। মহানগর বিএনপির বেশকজন নেতা নজরুল ইসলামের জানাযায় আসলেও তার স্মরণে একটি দোয়া মাহিফলও করতে পারেননি।
তবে ইতিমধ্যে পৃথক দুটি স্থানে নজরুল ইসলাম স্মরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। যে কারনে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, মৃত্যুর পরেও বিএনপির স্মরণে একমাত্র সাখাওয়াত হোসেন খান। কিন্তু জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দুচারজন বাদে বাকিরা আসেনি তার জানাযাতেও। মৃত্যুর পরেও নজরুল ইসলামকে সম্মানটা পর্যন্ত করতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি।
এখানে উল্লেখ্যযে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন নজরুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে, স্ত্রী সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ওই দিন বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদে তার প্রথম জানাযা শেষে তার লাশ নেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও পরবর্তীতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সৈরাচারী আন্দোলনেও ব্যাপক ভুমিকা রাখেন প্রয়াত শ্রমিকদলের নেতা।
নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপির রাজপথের একজন সক্রিয় নেতা নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির ২৬ জনের কমিটির মাত্র একজন সহ-সভাপতি মরহুমের জানাযায় উপস্থিত হন। আসেননি জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শাহআলম, সহ-সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, আজহারুল ইসলাম মান্নান, আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লার মত শীর্ষ পদে থাকা নেতারাও। এদের মধ্যে ইতিমধ্যে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন শাহআলম। তবে জেলা বিএনপি নজরুল ইসলামের মৃত্যুর সাত দিন পর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নামকাওয়াস্তে শোক বার্তা দিয়েছেন।
প্রয়াত নজরুল ইসলামের জানায়ায় এমনকি বিএনপির সাবেক ৪ এমপি রেজাউল করিম, আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, আবুল কালাম ও গিয়াসউদ্দীনও আসেননি বিএনপি নেতার জানাযায়। যদিও এর মধ্যে আবুল কালাম চিকিৎসার জন্য ছিলেন দেশের বাহিরে। তবে নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর আত্মার মাগফেরাত কামনায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ও তার কার্যালয়ে দোয়া মিলাদ মাহফিল এবং স্মরণ সভা করেছেন সাখাওয়াত হোসেন খান। যিনি নারায়ণগঞ্জে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের মামলায় আইনি লড়াই চালিয়ে আসছেন। দূর্দশাগ্রস্থ নেতাকর্মীদের পাশে আইনি লড়াই চালিয়ে যেমন পাশে থাকছেন তেমনি বিএনপির নেতাকর্মীদের মৃত্যুর পরেও তাদের সম্মান জানাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান।
তবে এসব নেতারা নজরুল ইসলামের জানাযায় না আসলেও এসেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সেক্রেটারি এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি সরকার হুমায়ুন কবির, আইনজীবী ফোরামের নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সহ মহানগর বিএনপির বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার নেতাকর্মী।