নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রক্তাক্ত মাসদাইর এলাকা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এতে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকী। এই সাগর সিদ্দিকী এক সময় মশিউর রহমান রনির সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার মহানগরীর মাসদাইর এলাকায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসায় জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করেন। সভাস্থলের বাহিরে সংঘর্ষে জড়ান ছাত্রদলের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্র দেখি অনেকেই জানিয়েছেন, ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। বিরোধের কারনে সাগর সিদ্দিকীর প্রতি চরম ক্ষুব্দ ছিলেন রনি। যে কারনে সাগর সিদ্দিকীকে অপহরণ করে তুলে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সংঘর্ষে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন সাগর সিদ্দিকী। এসময় বিএনপির শীর্ষ নেতারা আহত ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

পদবঞ্চিত নেতাদের অভিযোগ- জেলা বিএনপির সভা শুরুর সময় অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সাগর সিদ্দিকী নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে যায়। এদিকে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রনির লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র, স্ট্যাম্প, লোহার পাইপ নিয়ে সাগর সিদ্দিকী ও তার সহকর্মীদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকীকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এসময় সাগর সিদ্দিকীকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাদের হামলায় জাকির, উজ্জল, মামুন, রবিউল সহ ৮/৯জন আহত হয়। হামলার সংবাদ পেয়ে তৈমুর আলম খন্দকারের বাড়ির ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসেন তৈমুর আলম খন্দকার, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, শাহ আলম মুকুল, সাদেকুর রহমান সহ সিনিয়র নেতারা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। এসময় রনির লোকজনের হাত থেকে বেশ কিছু লোহার পাইপ, স্টাম্প উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে, আহত ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকী সহ আহতদের উদ্ধার করে শহরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমূর আলম খন্দকার, যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা সাদেকুর রহমান সাদেক, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিব সহ শীর্ষ নেতারা হাসপাতালে ছুটে যান এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

আহত সাগর সিদ্দিকীর অভিযোগ, হামলার সময় জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনির বাবা, ভাই, ভাগ্নে সহ ছাত্রদলের মেহেদী হাসান দোলন, পল্লব, সাজ্জাদ হোসেন সাজ, কাজী মোস্তাকিম, সজিব ওয়াজেদ জয়, তোফায়েল, শান্ত, সুমন, বিল্লাল, রবিউল সহ প্রায় ৪০/৫০ সশস্ত্র হামলায় অংশ নেয়। ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়।

তবে পূর্ব বিরোধ সূত্রে জানাগেছে, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে সাগর সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিল। ফতুল্লায় পাল্টা বিদ্রোহী কমিটি ঘোষণা করেন সাগর সিদ্দিকী। এ ঘটনায় সিনিয়র বেশকজন নেতার দিকে উস্কানীর অভিযোগ তুলেন রনি। পাল্টা রনির জবাব দিতে গিয়ে সাগর সিদ্দিকীও ফেসবুকে কঠোর ভাষায় মন্তব্য করে রনিকে নিয়ে নানা কথা বলেন।