সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় পদক বাতিলের সিদ্ধান্তকে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি চরম অবমাননা বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি মনে করেন, এ ধরণের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শামিল।
তিনি জানান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের এক সভায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সহায়তা করার অভিযোগে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক বিবৃতিতে কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, যদি সরকার এ ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তা হবে দুর্ভাগ্যজনক। এটা সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হবে। কারণ, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান তাঁর শত্রুরাও স্বীকার করেন। সেখানে যদি এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা হবে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চরম অসম্মান ও অবমাননা।’
খোরশেদ আরো বলেন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তিনিই প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেন এবং তিনি প্রথম বিদ্রোহ করেন কালুরঘাট থেকে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে?’
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায় ছিল। তারাই তো জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জিয়াউর রহমানকে সর্বোচ্চ খেতাব বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিল। এখন অন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শামিল হবে। জনগণ এ সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না। এধরণের হটকারী সিদ্ধান্ত আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই সরকার ইচ্ছা করে করেছে।
এ সময় আরো প্রতিবাদ জানিয়েছেন- মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশো প্রমুখ।