একজন সেক্টর কমান্ডারের ‘বীরউত্তম’ খেতাব নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার: সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে তার প্রতিবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আপনারা জানেন এই সরকার আজকে টালমাতাল হয়ে গেছে। তাদের স্বৈরাচারী মনোভাব প্রকট হয়ে ওঠেছে। বিশ্ব মিডিয়ায় তাদের অপকর্ম প্রকাশিত হওয়ার কারনে জনগণের মনোভাব অন্যদিকে ফেরানোর জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব ‘বীর উত্তম’ নিয়ে ছিনিমিলি খেলছে। একজন স্বাধীন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার, সেনা বাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। তাই তারা জিয়াউর রহমানকে এদেশের মানুষের মন থেকে মুছে দেয়ার জন্য আজকে ৫০ বছর পরে এই ষড়যন্ত্র। দেশের স্বাধীনতায় ভুমিকা রাখার জন্য তাকে খেতাব দেয়া হয়েছিল।

১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর প্র্রাণকেন্দ্র চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সমাবেশে এসব কথা বলেন সাখাওয়াত হোসেন খান।

সাখাওয়াত বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবি করে, অথচ তারা একজন সেক্টর কমান্ডারের খেতাব নিয়ে তারা ছিনিমিলি খেলছে। সুতরাং বলা যায় এই সরকার স্বাধীনতার পক্ষের সরকার নয়। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে তাদের খেতাব নিয়ে, তাদের জনপ্রিয়তা নিয়ে আজকে তারা ছিনিমিলি খেলছে। আমরা বলে দিতে চাই খেতাব বাতিলের যে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে তা বাতিল করুন। অন্যথায় এদেশের মানুষ রাজপথে নেমে সরকারকে উৎখাত করবে।

এর আগে শনিবার সকালে মহানগরীর নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে থেকে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাখাওয়াত হোসেন খান। মিছিলটি মহানগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব হয়ে চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে এসে সমাবেশ করে কর্মসূচি শেষ করেন। এর আগে শহীদ মিনারের সামনে বিএনপির সমাবেশে পুুলিশ এসে কয়েক দফা বাধা দেয়।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও থানা যুবদল নেতা মহিউদ্দীন শিশির, জেলা যুবদলের যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহাম্মেদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম মুছা, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আহাম্মেদ বাবু, লিংরাজ খান, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, মহানগর যুবদল নেতা সম্রাট হাসান সুজন, নুরুজ্জামান খান, পলাশ প্রধান, মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক অপু রহমান, লিংকন খান, হযরত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষকদলের আহবায়ক জসিমউদ্দিন, সদস্য সচিব মনির প্রধান, মহানগর শ্রমিকদলের যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রাসেল প্রধান, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক নাইম খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক এইচএম হোসেন, মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর আলম, সদর থানা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন জ্যাকী, যুবদল নেতা সজিব খন্দকার, রাজিব খান, রাজু আহমেদ, ছাত্রদল নেতা সীমান্ত, সাদিক, সিহাব, কিরন সহ কয়েক’শ নেতাকর্মী।