সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, সদস্য সচিব মামুন মাহামুদ ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বক্তব্যের মাধ্যমেই জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘটেছে। তারা সর্বসাকুল্যে ৫ মিনিটের মত এই সমাবেশে অবস্থান করেছেন।
বিএনপির নেতাদের সামনে দাঁড়ানো ছিল পুুলিশ। পুলিশের অঙ্গুলী ইশারায় তারা ৫ মিনিটের মধ্যেই ব্যানার গুটিয়ে কর্মসূচি শেষ করেছেন। যেখানে জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও ও ফতুল্লা থানা এলাকার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে দেখতে পান জেলা বিএনপির কর্মসূচি শেষ। তখন নিজ নিজ থানার নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে চলে যান।
জানাগেছে, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। ১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে নেতাকর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ দুই মিনিট সময় বেঁধে দেয় জেলা বিএনপিকে। পুলিশের ধমকে আর অঙ্গুুলী ইশারায় তিন নেতার বক্তব্যে ৫ মিনিট গড়িয়েছে জেলা বিএনপির সমাবেশ। তারপর উধাও হয়ে গেলেন আহবায়ক তৈমুর আলম খন্দকার ও সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ।
এদিকে আড়াইহাজার রূপগঞ্জ সোনারগাঁও থেকে দূর-দূরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে এসে দেখতে পান বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয়ে গেছে। এতদূর থেকে এসে কর্মসূচিতে অংশ নিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে, আর তাই আগামীতে এরকম ফটোসেশনের কর্মসূচি হলে তারা আর আসবেন না বলেও জানান। আড়াইহাজারের নেতাকর্মীরা বলছেন, এত দুর থেকে এসে জেলা বিএনপির ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে একটা ছবি তুলে গেলেও মনটাকে মানাতে পারতাম। সেটাও হলো না। আমরা আসার আগেই কর্মসূচি শেষ।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন-জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দীন, জাহিদ হাসান রোজেল, নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, মাসুকুল ইসলাম রাজিব, সদস্য মোশাররফ, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, রুহুল আমিন শিকদার, আশরাফুল হক রিপন, জুয়েল আহমেদ, সেলিম হক রুমী, আল মুজাহিদ মল্লিক, কামরুজ্জামান মাসুম, একরামুল কবির মামুন ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ প্রমুখ।