সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে দ্বিতীয় বড় ইউনিয়ন হলো সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়ন। সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দীন সাবু। আওয়ামীলীগের তৃণমুল থেকে ওঠে আসা আওয়ামীলীগ নেতা গত নির্বাচনে রাজনৈতিক কারনে নৌকা প্রতীক না পেলেও ভোটের দিকে ছিলেন তিনি এগিয়ে। কিন্তু রাজনৈতিক কারনেই তিনি তার জয়ও ধরে রাখতে পারেননি। তবে তিনি নির্বাচনী মাঠ ছাড়ছেন না। ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন তিনি। প্রায় প্রতিদিনই তিনি সনমান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রতিটা ঘরে ঘরে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় রাজনীতিকরণের কারনে গত নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাননি। জেলা ও উপজেলার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাদের ম্যানেজ করেছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহের বড় ভাই জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর আলম। ফলে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বিরাট অংশের প্রভাবশালী নেতারা চলে যায় সাবুর বিপক্ষে। তবে ইউনিয়ন এলাকায় তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু সাবুর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটার ব্যাপক হেনস্তার শিকার হোন।
আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দাবি- বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রামে ভুমিকা রেখেছিলেন সাহাবউদ্দীন সাবু। যার ফলশ্রুতিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু গত নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়। এবারও তিনি সনমান্দি ইউনিয়নবাসীর ভালবাসা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নিজেকে মানুষের সেবায় বিলিয়ে দিতে চান।
স্থানীয় সাধারণ ভোটারদের দাবি- সাবু চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। একই সঙ্গে মানুষের মাঝে শান্তি ছিল। ব্যাপক উন্নয়নে ভুমিকা রাখায় তিনি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অঢেল কালোর টাকার মালিক হতে পারেনি। সামনের নির্বাচনে কেউ কালো টাকা নিয়ে মাঠে নামলেও সেই সুযোগ স্থানীয়রা কাউকে দিতে নারাজ। এবারও ত্যাগের বিনিময়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান সাবু। উড়ে এসে জুড়ে বসা কোন হাইব্রীডকে চেয়ারম্যান পদে দেখতে চায়না ইউনিয়নবাসী।