সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে ধ্বংসের কারিগর এখন আন্ডার ডন। মুলত আন্ডার গ্রাউন্ডে থেকে জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটির বেশকজন নেতাকে মুরিদ বানিয়েছেন ওই আন্ডার ডন। যার কাছ থেকে মাস শেষে ওইসব মুরিদগণ তহুরি নিয়ে আসেন। এক সময় বিএনপির রাজনীতি করলেও বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে নাই। তারপরও বিএনপির জেলা ও মহানগর কমিটিতে তার বেশকিছু মুরিদ তৈরি করেছেন। যারা তাকে নমস্কার দিয়ে রাজনীতি করেন।
বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কর্মী সমর্থকরা বলছেন, অনেকটা বাবার দরবার সাঁজিয়ে বসেছেন ওই পীর সাহেবজাদা। মুরিদ মার্কা বিএনপি নেতাদের দেন পানি পড়া। সেই পানি পড়া খেয়ে বিএনপির ওইসব নেতারা কখনও নৌকার দিকে ঝুঁকে পড়েন আবার কখনও লাঙ্গলের হাল ধরেন। আবার কখনও ধানের শীষের মুঠিও ধরেন। তা কেবল ওই পীর সাহেবের পানি পড়ায় দিশেহারা হয়েই করেন এসব মুরিদগণ। এসব কারনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি এখন ধ্বংসের পথে। মুরিদগণের ভাবসাপ এমন দল বুঝিনা, দেশ বুঝিনা বুঝি, শুধু পীর সাহেব বাবার দরবার বুঝি। যেখান থেকে মাস শেসে পাবেন আশীর্বাদ। সঙ্গে তহুরী। আবার কখনও নৌকার বৈঠা ধরলে কিংবা লাঙ্গলের জোয়াল ধরলেও মিলবে ভিরাট অংকের তহুরী।
২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। জেলা কমিটিতে ২৬ জন ও মহানগর কমিটিতে ২৪ জনকে স্থান দেয়া হয়। এর আগে থেকেই রাজনৈতিক ডন বিএনপির অনেক নেতাদের নিয়ন্ত্রন করতেন। ২০১৪ সালের ২৬ জুনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের নির্বাচনে বিএনপির মুরিদমার্কা নেতাদের ডেকে ডেকে নিয়ে পকেট তহুরি ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন ওই আন্ডার ডন। ফলে বিএনপির ওইসব নেতারা লাঙ্গলের জোয়ার কাঁধে নিয়েছিলেন।
সাধারণ কর্মী সমথকদের অভিযোগ- ওই রাজনৈতিক আন্ডার ডন নিজের স্বার্থে তার মুরিদগণকে কখনও বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দীনের পক্ষে নামিয়েছিলেন আবার কখনও তার বিরুদ্ধে নামিয়েছিলেন। আবার কখনও বিএনপি থেকে পদত্যাগী শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলমের পক্ষে মুুরিদদের নামিয়েছিলেন আবার কখনও তার বিরুদ্ধে নামিয়ে দেন। আর জেলা ও মহানগর বিএনপি এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাই এখন তার মুরিদ হয়েছেন। যে কারনে ওই ব্যক্তিকে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিএনপির রাজনীতিতে আন্ডার ডন হিসেবে মন্তব্য করেছেন যিনি বিএনপির রাজনীতিকে পিছন থেকে নিয়ন্ত্রন করেন। তবে কেউ তার নামতে বলতে চাননি। তবে নেতাকর্মীদের দাবি ওই রাজনৈতিক আন্ডার ডনের মুরিদদের চিহ্নিত করে বিএনপির কমিটি থেকে বিতাড়িত করা উচিত। নতুবা বিএনপি নারায়ণগঞ্জে ঘুরে দাড়াতে পারবেনা।