সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুলবুল। এর আগে তিনি অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
১০ মার্চ বুধবার দুপুরে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদ্য সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন।
এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, ২০১৫ থেকে আমি এই পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এর মধ্যে চাঞ্চল্যকর ৭ খুন, ৫ খুন, স্বর্ণব্যবসায়ী, শিশু হত্যা, নারী হত্যা সহ অসংখ্য মামলায় সাফল্য অর্জন করেছি। কিন্তু হঠাত করেই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুদক থেকে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, ১৯৯০ থেকে এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর নামে ২৭ লক্ষ টাকার অধিক সম্পদের তথ্য গোপন করেছি। আর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমি ৮৫ লক্ষ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছি। ৩১ বছর বিশাল ব্যবধান। জাপানে ছিলাম, ওকালতি পেশা, ৫ বছরের পিপির পেশা। এতদিনে একজন শ্রমিক বা রিক্সাওয়ালারও এর চেয়ে বেশি সম্পদ থাকে। জিনিসটা আমার কাছে খুব বিব্রতকর মনে হলো, আমি জেলা বিচার ব্যবস্থার একজন প্রধান। আমার যারা অভিভাবক আত্মীয়স্বজন, তারা আমাকে উপদেশ দিলো তদন্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তুমি অবসর নাও। যোগ্য একজনকে দায়িত্ব দাও যোগ্য কাউকে। আমার ৭ জন এডিশনাল পিপির মধ্যে সব কিছু চিন্তা করে মনিরুজ্জামান বুলবুল সাহেবকে যোগ্য মনে করি। তাই আমি তাকে ভারপ্রাপ্ত পিপি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছি। আমি নিজে যেহেতু বিচার ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট, তাই আমি নিজেও বিব্রতবোধ করি। কারণ আমি একটা ভালো চেয়ারে বসে থাকলে তদন্ত কর্মকর্তা বারবার আমাকে স্যারই বলবে। এতে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই আমি তদন্দের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দেশে সচরাচর এটা কেউ পালন করে না, আমি একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।
ভারপ্তাপ্ত পিপি মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, উনি স্বপদে বহাল থাকলে মামলার তদন্ত ব্যাহত হতে পারে, উনি এটা ভেবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। আমি আশা করি ওয়াজেদ আলী খোকনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে তিনি মুক্তি পাবেন।
স্বপদে ফেরা নিয়ে সাবেক পিপি ওয়াজেদ আলী বলেন, স্বপদে ফেরা বা স্থায়ী পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া মন্ত্রণালয়ের বিষয়। নতুন যিনি আসবেন বা বুলবুল ভাইও যদি আসেন আমার সমস্যা নাই। কারণ আমরা একই ব্যক্তি।
যেসব গুরুত্বপূর্ণ মামলা এখনো কার্যরত আছে সেগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, ২৩টি গুরুত্বপুর্ণ মামলা আছে সেগুলো ১৫ দিনের মধ্যে নতুন পিপির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সাবেক পিপির পদত্যাগ ও ভারপ্রাপ্ত পিপির দায়িত্ব গ্রহণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিচার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।