সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটু বলেছেন, আমার সালাহউদ্দিন ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে, আমি ওনাকে আহ্বান জানিয়েছি, আমরা নারায়ণগঞ্জে ফুটবলের জন্য আলাদা একটি মাঠ সংরক্ষণ করে রেখেছি। আপনারা ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমাদের সহায়তা করেন। সে মাঠে পূর্ণাঙ্গ একটা ফুটবল মাঠ আমরা তৈরি করার জন্য।
১৩ মার্চ শনিবার মোনেম মুন্না অনুর্ধ্ব-১৫ চ্যালেঞ্জ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মাঠটা সম্পূর্ণ হলে সারা বছর ফুটবল খেলা ও প্রশিক্ষণের আরও বেশি ব্যবস্থা করা যাবে। সালাহউদ্দিন ভাই আমাকে বলেছেন তিনি অবশ্যই নারায়ণগঞ্জে আসবেন ও এ জন্য যা যা করা যায় তিনি করবেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে ওনার কাছে আহ্বান রাখছি, নারায়ণগঞ্জের ফুটবলের জন্য আমরা যে জায়গাটুকু রাখতে পেরেছি, সেখানে পূর্ণাঙ্গ একটি ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরি করেন। জাতীয় দলে নারায়ণগঞ্জের খেলোয়াড়দের যে সুনামটুকু ছিলো, আমরা সে অর্জন টুকু যেনো ধরে রাখতে পারি। নারায়ণগঞ্জের ফুটবলের জন্য আপনি এটুকু করে দিবেন, আপনার কাছে দাবি জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জের ফুটবল ঐতিহ্য নিয়ে টিটু আরও বলেন, বাংলাদেশের তো অবশ্যই না! এই উপমহাদেশের যদি কোনো দল করা হতো, মুন্না ভাইকে ছাড়া গঠন করলে তা পরিপূর্ণ হতো না। মুন্না ভাই ছিলেন এমন একজন ফুটবল প্লেয়ার। নারায়ণগঞ্জকে ফুটবলের সূতিকাগার বলা হয়। প্রচুর ফুটবলার নারায়ণগঞ্জ থেকে তৈরি হয়েছে। এমিলি ভাই, গাউস ভাই, চুন্নু ভাই, স্বপন ভাই, জাকির ভাইসহ অনেক ফুটবলার এখানে তৈরি হয়েছে। মাঝখানে আমাদের এখান থেকে ফুটবলার তৈরি হওয়াটা কমে গিয়েছে। এর পিছনে কারণ আমাদের খেলার মাঠ। কিছু নীতি নির্ধারকের নির্ধারণী ব্যবস্থা, আমাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার। নারায়ণগঞ্জের জমির দাম বেড়ে যাওয়াতে মাঠ কম হয়ে গেছে। আমি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর আমার একটাই টার্গেট ছিলো। আমরা খেলাধূলার জন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রথমে করবো। কারণ আমাদের মাঠ না থাকলে খেলোয়াড় তৈরিও করতে পারবো না, করলেও ধরে রাখতে পারবো না। সেই লক্ষ্যে কাজ করে জেলা পৌর স্টেডিয়াম যেটি ছিলো, আমরা সেখানে আলাদা একটি ক্রিকেট মাঠ তৈরি করতে পেরেছি, ফুটবলের জন্য আলাদা মাঠ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি।
টিটু দাবি করেন, আজকে নারায়ণগঞ্জের যতো ফুটবলার আছে, ইলেকশনের সময় আমি দেখেছি তারা ভিতরেও ঢুকতে পারেনা হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়েও সাহায্য করেন। আপনাদেরও সে দায়িত্বটা থাকবে, নারায়ণগঞ্জের জন্য কিছু করার। যেকোনো খেলায় সাকসেস পেতে হলে রুট লেভেল থেকে কাজ করতে হয়। আমাদের জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাজ রুট লেভেল থেকে কাজ শুরু করা। আরো যারা উদ্যোগ নিতে চান, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করবো। অনূর্দ্ধ ১৩,১৫,১৬ ও ১৮ সব খেলা যেন জেলায় হয় সে জন্য কাজ করে যাবো। যে বাচ্চারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে মোনেম মুন্না ভাইয়ের গেঞ্জি পড়ে, তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠানকে আলাদা একটা মাত্রা দিয়েছো। মুন্না ভাইয়ের ছবিটা তোমাদের বুকে আছে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও বসুন্ধরা কিংস এর চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি এজেডএম ইসমাইল বাবুল, চ্যানেল ২৪ এর এডিটর দিলু খন্দকার ও প্রয়াত মোনেম মুন্নার সহধর্মিনী সুরভি মুন্না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও নারায়ণগঞ্জের ফুটবল আইকন মোনেম মুন্নার স্মরণে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ রবিউল হোসেন, সদস্য গোলাম গাউছ, জাকির হোসেন শাহিন, মেহেবুবুল হক তালুকদার টগর, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম নাসির, সাবেক জাতীয় ফুটবলার আমিনুর রহমান, রেজাউল করিম লিটন, কাজী নজরুল ইসলাম, সুজন ভুইয়া, আজমুল হোসেন বিদ্যুৎ, আব্দুল্লাহ পারভেজ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, জাকির হোসেন, গৌতম কুমার সাহা, সাবেক ফুটবলার নাদিম হাসান মিঠু, মকবুল হোসেন রতন প্রমুখ।