সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও তার আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিট কমিটি বিতর্কের পরেও সফল দাবি করছেন নেতারা। সংগঠনের কাইটেরিয়ার বাহিরে গিয়ে কমিটি গঠন, জাল সনদপত্র দিয়ে পদ ভাগিয়ে নেয়া, বিদ্রোহীদের জুতা ঝাড়ু মিছিল, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সুপার ফাইভের নেতাদের হাতাহাতির ঘটনা যার সবই সৃষ্টি করেছেন তারা। আবার মাদক মামলার আসামিকে শীর্ষ পদে বসানো, আবার তথ্য গোপনের দায়ে কাউকে অব্যাহতির ঘটনাও।
এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর শীর্ষ ৫ নেতায় মহানগর ছাত্রদল হয়ে যায় পাঁচ খন্ড। যার মধ্যে সভাপতি ও সেক্রেটারির মাঝেই চরম বিরোধ। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন নিষ্ক্রিয়, অন্য দুজনের মধ্যে একজনকে কিছুটা দেখা গেলেও ছাত্রদলের কর্মকান্ডে ছিলেন না। আরেকজন মহানগর ছাত্রদলের নেতা হয়ে রাজনীতি করেছেন সেই আড়াইহাজার গিয়ে। এসব কর্মকান্ডে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দাবি সুপার ফাইভ সুপার ফ্লপ, যেখানে যুবদলের রাজনীতিতে তাদের ভবিষৎ রাজনীতি ঘোলাটে।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, আড়াইশো জনের বেশি নেতাকর্মী দিয়ে মহানগর ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর আড়াইশো নেতাকর্মী এক সাথে নিয়ে সভাপতি সাহেদ আহমেদ ও সেক্রেটারি মমিনুর রহমান বাবুকে দলীয় কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। কিছুদিন দুজনের মধ্যে বেশ অন্তরঙ্গ ভাব থাকলেও স্বার্থের কারনে দুজনেই হয়ে যান বিভক্ত। এমনকি করোনাকালেও ত্রাণ বিতরণে তাদেরকে পৃথকভাবে দেখা গেল।
এদের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন রিয়াদ আড়াইহাজার গিয়ে রাজনীতি করেছেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর মহানগর ছাত্রদলের রাজনীতিতে তাকে দেখা যায়নি। মাঝে সাঝে সভাপতি ও সেক্রেটারিকে বাদ দিয়ে বাকি তিনজন মহানগর ছাত্রদলের ব্যানারে তাদের নিজস্ব কর্মসূচি পালন করেছেন। যেখানে সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাগফুর ইসলাম পাপনকে দেখা যেতো অনেকটা রাজনীতিতে উকিঝুঁকি দিতে। তিনি ছিলেন মহানগর ছাত্রদলের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন প্রধান রাজনীতিতে দেখা গেলেও তিনি মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে ছিলেন না। ব্যক্তিস্বার্থে তারা সভাপতি ও সেক্রেটারিকে ঠেক দিতে মাঝে সাঝে একজোট হতেন।
এদিকে মহানগর যুবদলের কমিটি বাতিলের পর নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা ওঠেছে। নতুন কমিটিতে ঢুকতে চাচ্ছেন এই ৫ নেতাই। কারন মহানগর ছাত্রদলের পরবর্তী কমিটিতে তাদের বহাল থাকার কোন সম্ভাবনাই নাই। কিন্তু যেসব নেতাকর্মীরা মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত তারা ছাত্রদলের এই ৫ নেতাকে মহানগর যুবদলের কমিটিতে দেখতে চায় না। এমনকি মহানগর যুবদলের শীর্ষ যেসব নেতা রয়েছেন তারাও চায় না এসব নেতারা মহানগর যুবদলের কমিটিতে থাকুক।
মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর মুুলদলের নেতারাও আন্দোলন সংগ্রাম কর্মসূচিতে তাদের কোন সহযোগীতা পায়নি। ফলে মুুলদলের নেতারাও তাদের প্রতি চরম ক্ষুব্দ। ফলে মহানগর যুবদলের কমিটিতে সদস্য পদে আসার রাস্তাটাও তাদের জন্য আপাতত বন্ধ। যুবদলের শীর্ষ কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন তাদের কয়েক বছর রাজনীতির সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা উচিত।