মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের অস্ত্র ও মাদক মামলায় সাক্ষ্য: দুদকের মামলায় হাজিরা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অস্ত্র ও মাদক মামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিনের আদালতে এই সাক্ষ্য নেয়া হয়। সাক্ষ্য শেষে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ২৭ মে ধার্য করেন আদালত। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৯৮/১৪, সেশন নং ১৬৩১/১৫।

এ সময়ে আদালত নুর হোসেন ছাড়াও এই মামলার বাকি আসামিরা হলো আলী মোহাম্মদ, জামাল, নুর হোসেনের ভাই নুর উদ্দিন ও ভাতিজা কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় নুর হোসেনের ভাই নুর উদ্দিন ও ভাতিজা কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল জামিনে রয়েছেন।

এদিকে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের আদালত হাজিরা দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী হাজিরার দিন আগামী ২৭ মে ধার্য করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নূর হোসেনকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জে আদালতপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। আদালতে হাজিরা শেষে আবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দুপুরে দেড়টার দিকে ফের তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়ায় হয়। এ সময় আদালত এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ জানান, অস্ত্র, মাদকের দুটি মামলায় আজ আদালতে নূর হোসেন সহ ৫ আসামিকে দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিনের আদালতে হাজির করা হয়। এসময়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অস্ত্র গুলি ও মাদক মামলায় তৎকালীন দুই পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এই মামলায় নুর হোসেন ছাড়াও অন্যান্য আসামিরাও আদালতে হাজির ছিলো। মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া চলছে।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির মামলায় সকালে নুর হোসেনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জে আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার রায়ে নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেন কারাগারে বন্দী রয়েছেন।