সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি বলেছেন, আল্লাহর পর নৌকা প্রতীক দিবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। যদি নৌকা প্রতীক পাই এবং জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারি তাহলে মোগরাপাড়া ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো। প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা পৌছে দিব।
২২ মার্চ সোমবার বিকেলে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মোগরাপাড়া পুরান বাজার এলাকায় তার অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ইউনিয়নের মান্যগণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে একথা বলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ রনি।
আগের দিন ২১ মার্চ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে সোহাগ রনির পোস্টারে ছবি প্রকাশে আপত্তি জানিয়েছেন বিষয়টি সাংবাদিকরা সোহাগ রনির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ রনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা আমার চাচাতো ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সাহেব আমাকে বলেছেন আমি কেন তার ছবি দিয়ে পোস্টার করেছি। তখন আমি উনাকে বলেছিলাম আমার রাজনৈতিক জীবনে যতগুলো পোস্টার করেছি সবগুলো পোস্টারে আপনার ছবি আমি দিয়েছি। তখন তিনি আমাকে বলেছেন তুমি আমার ছবি দিয়ে পোস্টার করায় আমার পরিবার থেকে চাপ আসছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোহাগ রনি বলেছেন, যেহেতু আমার রাজনৈতিক গুরু, আমার রাজনৈতিক অভিভাবক মোশাররফ হোসেন। আমার পিতাতুল্য। তাই আমি যতদিন রাজনীতি করবো, যত পোস্টার করবো আমি তার ছবি দিয়েই পোস্টার করবো। কারন তিনিই আমার রাজনৈতিক গুরু, তিনিই আমার রাজনৈতিক অভিভাবক।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ রনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে নৌকা প্রতীক দেন তাহলেই আমি নির্বাচন করবো। আমি যদি নৌকা প্রতীক না পাই তাহলে নির্বাচন করবো না এবং যাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন আমি সেই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবো।
বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম নির্যাতন হয়রানির চিত্র তুল ধরেন সোহাগ রনি। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সোহাগ রনির পিতা উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি শাহ জামান তোতা তার এবং তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ভুমিকা তুল ধরেন।
বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমলের চিত্র তুল ধরে শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি বলেন, আমার পিতা যখন রাজনীতি করতো, তখন বঙ্গবন্ধুর ছবি, জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেখতাম। তা দেখেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতিতে মিছিল করি। খুব ছোট্ট বয়স থেকে মিছিল করি। ২০০৪ সাল থেকে আমি বিভিন্ন সময় নির্যাতিত হয়রানির শিকার হয়েছি। এমনও দিন ছিলো মিছিল নিয়ে ঢাকার সমাবেশে গেছি, খাবার না পেয়ে পানি পান করে কাটিয়েছি। রাজনীতি করতে গিয়ে পুলিশের গুলি খেয়েছি , জেলও খেটেছি। আমার বাবা সোনারগাঁও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ছিলেন এবং মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনও করেছেন। আমি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবার কাছ থেকেও রাজনীতি শিখেছি।