সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম কখনো সহিসংতায় বিশ্বাস করেনা। গত হরতালে হেফাজতের ইসলামের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, সেদিন কোথাও আগ বাড়িয়ে হামলা করে ভাংচুর করেনি। হেফাজত কখনই বিশৃঙ্খলা পছন্দ করেনা। সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয়না।
৩১ মার্চ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদের সামনে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এমনটা দাবি করেন তিনি।
এর আগে হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল পদ থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণার বিষয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করেন মাওলানা মামুনুল হক সহ বেশকজন কেন্দ্রীয় নেতা। সঙ্গে ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা মনির হোসাইন কাশেমী, ফজলুল করিম।
তিনি দাবি করেন, হরতালে হেফাজত ছিল অহিংস। হেফাজত কোন ধরনের হামলা মারধর ভাঙচুর করেনি। এটা বহিরাগত কেউ করেছে। এটা সাবোটাজ হতে পারে। হেফাজতে ইসলাম সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করে। সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে প্রায় ২ ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা আবদুল আউয়ালের মান অভিমান ভাঙানো হয়েছে। আপাতত জেলা আমীরের পদ থেকে ইস্তফা নেওয়ার যে ঘোষণা ছিল সেটা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আবদুল আউয়াল। এখন থেকে জেলা ও মহানগর নেতারা আগের মতই একত্রে কর্মসূচী পালন করা হবে জানিয়েছেন বিরোধ মিমাংসা করতে আসা কেন্দ্রীয় নেতারা।
মাওলানা মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাওলানা আবদুল আউয়াল আগের মতই দায়িত্ব পালন করবে। সকল প্রকার মান অভিমান সব ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবেই কাজ করবেন।’
এর আগে ২৯ মার্চ সোমবার বিকেলে দেওভোগ মসজিদে হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত সারা দেশে মোদি বিরোধী বিক্ষোভে আহতদের সুস্থতা কামনা ও নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের কার্যক্রম শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনায় মাওলানা ফেরদাউসুর বলেছিলেন, ‘আমরা কেন্দ্রে অভিযোগ করব এবং ঢাকা মহানগরে অভিযোগ দিয়েছি যে এই সভাপতি আমাদের চলবে না। ওনার অতিতের ইতিহাস এরকম। উনি যখন হার্ডলাইনে দেখে তখন ব্যাকফুটে চলে যায়। নারায়ণগঞ্জ জেলার আমীর আল্লামা আব্দুল আওয়াল সাহেব সকাল ১০টায় যে ঘোষণা দিয়েছিলেন এই ঘোষণার সাথে আমরা একমত ছিলাম না।’
পরে সোমবার রাতে শবে বরাত উপলক্ষ্যে ডিআইটি সমজিদে আলোচনায় হরতালের দিন সকাল ১০টায় কেন সেই ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই বিষয়ে জানিয়ে হেফাজতের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল।