সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২ এপ্রিল শুক্রবার বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের উদ্যোগে ‘করোনাজনিত বিশ্ব বিপর্যয়ে প্রতিবন্ধিদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু তৌহিদ ভূঁইয়া প্রিন্স, সমাজহিতৈষী আবদুল মান্নান মেম্বার, মোঃ রাফিয়ান, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুর রহমান বাচ্চু, এনামুল হক প্রিন্স, মোঃ আবদুল হক, মোঃ মিনার, মনোয়ার মুন্না, মতিউর রহমান মুক্তি, মোঃ লিটন, মোঃ মফিজুল, মোসাম্মত আরা মিনু, মোসাম্মত তাহমিনা আক্তার ও আল-আমিন রাব্বি প্রমুখ।
এখানে উল্লেখ্য যে, অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে।
হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বের এই ক্রান্তিলগ্নে মানবিক জীবন যেখানে বিপর্যস্ত, সেখানে অটিজম আক্রান্ত প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর ও তাদের পরিবারও এর বাহিরে নয় বরং এই অবুঝ শিশু-কিশোরদের নিয়ে তাদের আধিকাংশের পরিবার আরো অধিকতর মানবেতর জীবন যাপন করছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে আমি সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করবো আপনারা সাধ্যানুযায়ী প্রতিবন্ধী পরিবারগুলোর পাশে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করে পাশে দাড়ান। সেই সাথে আমি মনে করি বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধীদের প্রতি অবহেলার সুযোগ নেই। সমাজের নাগরিকদের সহযোগিতাই প্রতিবন্ধীদের জীবন নির্বাহে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
অটিজম জননী হাসিনা রহমান সিমু প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আপার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে অবহেলিত প্রতিবন্ধীদের সব সুযোগ সুবিধা সহ নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেজন্য বাংলাদেশ গর্বিত। আজ তিনি প্রতিবন্ধী সেবায় বিশ্ব মানবতার প্রতিক।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অটিজম আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের অভিভাবক বৃন্দ ও সমাজহিতৈষী ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠান শেষে অভ্যাগতদের ও প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয় ও শুরুতে সবার মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।