সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেমের নামে হেফাজতের কর্মীদের সন্ত্রাসী তান্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ইতিমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুুলিশ। যার মধ্যে একটি বৈঠক থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে এক নারী সহ (তার দাবিমতে দ্বিতীয় স্ত্রী) অবরুদ্ধ করার ঘটনায় হেফাজত কর্মীদের সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রয়েল রিসোর্টে ভাংচুর মামলায় এজাহারভূক্ত ১২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৮এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক থেকে ৭ আসামীসহ ১২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই দিনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনারগাঁও থানা পুলিশের ওসি মো. হাফিজুর রহমান স্থানীয় সংবাদকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি গোপন বৈঠক থেকে গ্রেপ্তারকৃত ৭ জনের নাম প্রকাশ করেননি।
সোনারগাঁও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আটককৃতরা হলা- উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পঞ্চবটি গ্রমের আব্দুল কাদিরের ছেলে রাজু ও আবু রায়হান. মোক্তার হোসেনের ছেলে ইমরান, পৌরসভার খাসনগর দিঘিরপাড় গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আকাশ। এর আগে রিসোর্টে হামলার ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁওয়ের বাংলাবাজার এলাকা থেকে মো. মোস্তফা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক চলাকালে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনারগাঁওয়ে ভাংচুর, সহিংসতা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে সোনারগাঁও থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তা বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় মামুনুল হকসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫-৬শ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় হেফাজত কর্মীদের ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা শতাধিক আসামি করা হয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হেফাজত নেতাকর্মীদের সহিংসতার ঘটনায় মামলায় এজাহারভূক্ত ১২ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।