সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি যিনি সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনিকে হত্যাচেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারী হেফাজতে ইসলামের নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ সাইফ, হেফাজতে ইসলামের কর্মী কাজী সমির ও অহিদকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শুক্রবার তাদের নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অহিদ তাবলীগ জামাতের সদস্য ও করোনায় কাজ করা এহসান পরিবারের সদস্য।
গত ৩এপ্রিল শনিবার হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক কান্ডের পর সোনারগাঁ থানায় ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনির বাবা সাবেক মেম্বার হাজী শাহ জামাল তোতা বাদী হয়ে মামলা করেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে এক নারী সহ অবরুদ্ধ করার ঘটনায় হেফাজত কর্মীদের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দুই নেতার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রয়্যাল রিসোর্টে ভাংচুর মামলায় এজহারভুক্ত ১২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর দারুন নাজাত হাফেজিয়া মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক থেকে ৭ আসামী ও এর আগে অপর ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পঞ্চবটি গ্রমের আব্দুল কাদিরের ছেলে রাজু ও আবু রায়হান এবং মোক্তার হোসেনের ছেলে ইমরান, খাসনগর দিঘিরপাড় গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আকাশ। এর আগে রিসোর্টে হামলার ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁয়ের বাংলাবাজার এলাকা থেকে মো.মোস্তফা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক চলাকালে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনারগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও রয়্যাল রিসোর্ট ভাঙচুরের ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মামুনুল হককে।
এ ছাড়া এ মামলায় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মহিউদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব ইকবাল হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
এসআই আরিফ হাওলাদার বাদী হয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০-৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
অপর মামলাটি করেন হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হামলায় আহত স্থানীয় এস এ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান। এ মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে নাম ঠিকানা অন্তভূক্ত করা হবে। এ ঘটনায় এজহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।