সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধাণের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন তারা। তিনটি আসনে এই তিনজন নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হওয়ার পর নিজ নিজ আসনের এলাকার জনগণ তো দূরের কথা নেতাকর্মীদেরই ভুলে গেছেন। যার প্রমাণ মিললো গত একটি বছরে।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাস আসার পর দূর্ষিহ জীবন যাপন করেছেন দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুুষগুলো এবং অসহায় দুস্থ মানুষগুলো। কিন্তু করোনা ভাইরাসের এক বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের নিজ আসনের কোনো এলাকায় এক মুঠো চাল বিতরণ করতেও দেখা গেল না।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, শিল্পপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য। এর আগে জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তার আগের কমিটিতেও তিনি ছিলেন জেলা বিএনপির সেক্রেটারি। ২০০৮ সালে ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। দুইবারই তিনি পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশে লকডাউনে বিপাকে পড়ে যায় সাধারণ মানুষ ও দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারগুলো। কিন্তু প্রসিদ্ধ এই শিল্পপতিকে গত একটি বছরে কোনো অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের হাতে একমুঠো চাল বিতরণ করতেও দেখা গেল না।
একইভাবে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা এসএম আকরাম। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। এর আগে হয়েছিলেন আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নারাযণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে নির্বাচন করেছিলেন এসএম আকরাম। নির্বাচনের পর এলাকায় তার ছায়াও দেখা যায়নি। এমনকি করোনা পরিস্থিতিতে গত একটি বছরেও তাকে একমুঠো চাল বিতরণ করতে দেখা যায়নি তার নিজ আসন এলাকায়।
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে নির্বাচনে প্র্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। মুলত ঐক্যফ্রন্ডের প্র্রার্থী হিসেবে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে এই আসনে মনোনয়ন পান। কিন্তু নির্বাচনে ভোটের আগেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান। এরপর এ আসনের কোথাও তার জনকল্যাণমুলক কাজে দেখা যায়নি। গত একটি বছরেও তাকে গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল না।