সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে উত্তান ঘটেছে শিল্পপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের। মুলত তার পিতা প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর মৃত্যুর পর তিনি আড়াইহাজার বিএনপির রাজপথে উদয় হোন। রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা না রাখলেও আড়াইহাজার বিএনপির রাজনীতিকে বিতর্কিত করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এবার তিনি নতুন করে ডুুয়েল গেম খেলছেন বলেও নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
নেতাকর্মীরা বলছেন, গত জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগে থানায় জিডিও করেছিলেন হাবিবুর রহমান হাবু। যদিও তার আগে পরে আজাদের সঙ্গেই রাজনীতি করে আসছেন হাবিবুর রহমান হাবু। তবে সম্প্রতি আজাদ বলয় ছেড়ে সুমনের বলয়ে ভীড়েছেন হাবু। এক সময় হাবু সুমনের বিরুদ্ধে নানা ধরণের মন্তব্য করতেন।
নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, আবুল কাশেম ফকিরকে মাইনাস করে এবার নতুন করে দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান হাবুকে বলয়ে টেনেছেন মাহমুদুর রহমান সুমন। অস্ত্র মামলা সহ একাধিক বিতর্কিত মামলা রয়েছে হাবুর বিরুদ্ধে। যদিও হাবুর সৃষ্টিই সুমনের পিতার হাতে।
ঘটনা সূত্রে জানাগেল- ২০১৩ সালে হাবিবুর রহমান হাবুকে শোকজ করেছিল উপজেলা বিএনপি। ওই শোকজের জবাব না দেয়ায় হাবুকে অব্যাহতি দিয়ে সেখানে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবুল কাশেম ফকিরকে দায়িত্ব দেন তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার। তবে সেই থেকে আবুল কাশেম ফকির ও হাবিবুর রহমান হাবু দুজনই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেন।
এদিকে খসরুর মৃত্যুর পর উপজেলা বিএনপির ভারপ্র্রাপ্ত সভাপতি বনে যান মাহমুদুর রহমান সুমন। তবে এ পদ নিয়ে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে। কারন সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লা। সুমনের সঙ্গে আবুল কাশেম ফকির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে রাজনীতি করে আসছিলেন। অন্যদিকে হাবুও একই দাবি করে আজাদের সঙ্গে রাজনীতি করে আসছিলেন।
সম্প্রতি সুমনের সঙ্গে বেশকটি স্থানে দেখা যায় হাবিবুর রহমান হাবুর। সেই থেকে নেতাকর্মীরা ধারণা করেছিলেন আজাদ বলয় ছেড়ে হাবু সুমনের বলয়ে ভীড়ছেন। তবে সেই ধারণা বাস্তবে রূপ দেখা গেল ১৮ এপ্রিল রবিবার। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল করেছেন হাবিবুর রহমান হাবু। সেই ব্যানারে তিনি মাহমুদুর রহমান সুমনের ছবি ব্যবহার করেছেন। যেখানে সভাপতিত্ব দেখানো হয়েছে হাবিবুর রহমান হাবুকে। ফলে আজাদকে পল্টি দিয়ে এবার হাবু সুমন বলয়ে।