সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে চলে লকডাউন। লকডাউনে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সকল ধরণের আয় বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়ে যায় অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ দুস্থ মানুষগুলো। তাদের পাশে এগিয়ে আসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো। কেউ হ্যাক্সিসল বিতরণ, কেউ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, কেউ মাস্ক বিতরণ, কেউবা করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করেছেন। কিন্তু এসব কাজে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের তিনজন জনপ্রতিনিধিকে। যাদের দুএকবার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে দেখা গেলেও অসহায় মানুষের পাশে জোরালোভাবে দাঁড়াতে দেখা গেল না।
জানাগেছে, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন মোশারফ হোসেন। একই সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাবুল ওমর বাবু ও মাহমুদা আক্তার ফেন্সি নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তারা নির্বাচনের আগে প্র্রতিটি এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও নির্বাচনের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষের খোঁজ খবর নিতে দেখা যায়নি যা আকাশ কুসুম, যখন করোনার এক বছরে অসহায় জনগণের মাঝে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ধাপেও চলছে লকডাউন। একই দশা অসহায় দুস্থ মানুষগুলোর এমন পরিস্থিতিতেও জনগণের পাশে এসে দাঁড়াতে দেখা গেল না তাদের কারোরই। প্রথম ধাপে করোনাকালে মোশারফ হোসেন ও ফেন্সিকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় দেখা গেলেও বাবুল ওমর বাবুকে একেবারেই দেখা গেল না। যদিও মোশারফ হোসেন বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবে করোনার শুরুর দিকে তিনি জোরালোভাবে জনগণের মাঝে দাঁড়াননি। স্থানীয়রা বলছেন- করোনার এক বছরেও এই তিন জনপ্রতিনিধি তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেননি। অথচ তারা সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের তিন জনপ্রতিনিধি।