সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে টানা তৃতীয় মেয়াদে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক। চলতি সরকারে তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন। অথচ সেই মন্ত্রী গাজীর নির্বাচনী এলাকা রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। যিনি বিদ্রোহী প্রার্থী সেই তাবিবুল কাদির তমাল মন্ত্রী গাজীর অন্যতম ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। তাহলে কি আবারো শাহজাহান ভূঁইয়ার সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে কিনা মন্ত্রীর সঙ্গে সেটা দেখার অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা। আবর তার নিয়ন্ত্রনের বাহিরে ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে আড়াইহাজারে মন্ত্রীর চেয়ে সফল আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। তার উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী।
গত ৬ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কমিশনের সভাকক্ষে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের যাচাই বাছাই করা হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী তাবিবুল কাদির তমালের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কমিশনার ও রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ আতাউর রহমান। এনপিপি এর প্রার্থী এস আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখলেছুর রহমানের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া, ইউসুফ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হারেজ, মোতাহার হোসেন নাদিমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় এবং অপর প্রার্থী আব্দুল আলীম সকরকারের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাসরিন আক্তার চম্পা, হ্যাপী বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা ও সায়রা তাহসিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এসব ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ কর্মী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। কিন্তু কেউ কেউ দাবি করছেন সোহেল আহমেদ ভূঁইয়াকে গাজী সমর্থন দিয়েছেন। আবার বেশ ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনে রয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ। আবার জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান। তিনিও লড়ছেন এ নির্বাচনে। রূপগঞ্জের কেউ কেউ দাবি করেছেন মন্ত্রীর সমর্থন নীলার দিকে।
জানাগেছে, টানা তিন বার এমপি গাজী। এখানে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদেও দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি। গাজী এমপি হওয়ার পর থেকে শাহজাহান ভূঁইয়ার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একাধিকবার এমপি ও চেয়ারম্যানের লোকজনদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে তিনটি হত্যাকান্ডের ঘটনাও ঘটেছে। যার দুটিতেই আসামী হয়েছেন শাহজাহান ভুঁইয়া। একাধিকবার গাজী ও শাহজাহানকে কোলাকুলি করে মিলি যেতে দেখলেও সেটা বেশি দিন যায়নি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীর মনোনয়ন ঠেকাতে ২১ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন যারা সবাই গাজীর বিরোধী। তবে এবার তাবিবুল কাদির তমালকে দিয়ে গাজী আবারো ডুয়েল গেম খেলছেন কিনা তা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। এবার জোড়ালোভাবেই নির্বাচনী মাঠে তাবিবুল কাদির তমাল। যদিও এখানে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লাও মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন শাহজাহান ভূঁইয়া।