সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও আরেক নারীকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন কাউন্সিলর খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা ব্যবসায়ী সাঈদা আক্তার শিউলি।
গত কিছুদিন যাবত নারায়ণগঞ্জে আলোচিত বিষয় খোরশেদ-শিউলী ঘটনাটি অবশেষে মামলা মোকাদ্দমায় গড়িয়েছে। মামলায় ওই নারী নিজেকে খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে ফেসবুক লাইভে নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কুৎসা রটানোর অভিযোগ করা হয়। একইভাবে রেহেনা মুসকান নামের এক নারী সাঈদা শিউলির বিরুদ্ধে অশালীন অকথ্য ভাষায় ফেসবুক লাইভে কুৎসা রটানোর অভিযোগ করা হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি নামক এক নারীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর, বানোয়াট ও মিথ্যা কাহিনী সাজিয়ে কূৎসা রটানোর অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর করোনা যোদ্ধা খ্যাত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ এক নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি বাদী হয়ে ১৭ মে রবিবার রাতে কাউন্সিলর খোরশেদ ও আরটিএন ফেরদৌসি আক্তার রেহানাকে আসামী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদী ফতুল্লা থানার ৩২১নং উত্তর চাষাড়ার মৃত মোঃ জহিরুল হকের মেয়ে। মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা হলো নিহত ফতুল্লা থানার মাসদাইর শেরে বাংলা নগরের মৃত শাহ আলম খন্দকারের পুত্র মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও ফতুল্লা থানার সস্তাপুর এলাকার আরটিএন ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বাদী নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ সিএনজি ওনার্স এসোসিয়ানের সভাপতি এবং গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও বিজেএমইএ এর সদস্য। ব্যবসার কাজে প্রায় সময় তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়। বিবাদী খোরশেদের সাথে তার পরিচয় ছেলেবেলা থেকে। তার ইতিপূর্বে একটি বিবাহ হয়েছিলো। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। সে ঘরে সন্তান ও রয়েছে।
পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খোরশেদ এবং বাদী ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করতো। এক পর্যায়ে খোরশেদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ২০২০ আগস্ট মাসের ২ তারিখে কাচপুরস্থ এস,এস ফিলিং স্টেশনে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেন মোহরে তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর সে এবং খোরশেদ বিভিন্ন স্থানে একসাথে রাত্রি যাপন সহ শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ তার সাথে সম্পূর্ণ রুপে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এ অবস্থায় সে ব্যবসায়ীক কাজে দুবাই চলে গেলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে খোরশেদ তার ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মানহানিমূলক তথ্য উপস্থাপন করে এবং নানা বাজে মন্তব্য করে কুৎসা রটায়।
এর একদিন পর ২৫ তারিখে আরটিএন ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান নামক এক নারী খোরশেদ খন্দকারের বাসায় বসে লাইভে এসে তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে। তাকে রাস্তার মেয়েদের সাথে তুলনা করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে এবং তার চুল কেটে ফেলা হবে বলেও ফেসবুক লাইভে বলেন।
এই দুটো বিষয়ই দুবাই থাকাকালীন অবস্থায় তিনি তার এক বান্ধবীর নিকট থেকে জানতে পেরে পরবর্তীতে তাদের আইডি থেকে পুরোপুরি বিষয়টি দেখেছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন এবং বর্তমানে তিনি দেশেই অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা করা হচ্ছে।