সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লায় শারীরিক দূর্বলতা আখ্যা দিয়ে একটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে তালাক দিয়েছেন তার স্ত্রী। এ তালাক প্রত্যাহারের দাবী করে পারিবারিক আদালতে মামলা করায় জামাতা ঐ শিক্ষককে মারধর সহ হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর -শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ১৬ মে রবিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় স্ত্রীকে ফেরত চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন জামাতা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- ২০২০ সালের ৩ আগষ্ট পারিবারিকভাবে ফতুল্লা থানাধীন এনায়েতনগর ইউনিয়নের মধ্য ধর্মগঞ্জ এলাকার ছোবহান মিয়ার ছেলে সালামের সঙ্গে একই থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্বগোপালনগর এলাকার হারুন অর রশীদের মেয়ে জহুরা আক্তারের বিয়ে হয়। সম্প্রতি জহুরা তার বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আর স্বামীর বাড়ি আসেনি। সালাম শ্বশুর বাড়ি গিয়ে জুহুরাকে আনতে গেলে তার শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে দিবেনা বলে জানান। তখন সালাম তার অপরাধ জানতে চাইলে জুহুরা জানান আপনার শারীরিক দূর্বলতা আছে আমি যাবোনা।
এ বিষয়ে সালাম দাবি করেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার সুস্পর্ক আছে কিন্তু আমার শাশুরি ভালোনা। সে অন্য কোথাও প্রলোভনে পড়ে আমার স্ত্রীকে অন্যত্রে জোর করে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। আমি নারায়ণগঞ্জের বড় বড় ডাক্তারদের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখিয়েছি। কয়েকজন ডাক্তার আমাকে সার্টিফিকেট দিয়েছে আমার কোন শারীরিক দূর্বলতা নেই। বিষয়টি জানিয়ে আমার শশুর শাশুড়ির কাছে আমার স্ত্রীকে ফেরত চেয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার শশুর শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমাকে তালাক দিয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, আমি এ তালাক মানিনা। আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়ে কোন সহযোগিতা না পেয়ে পারিবারিক আদালতে গিয়ে তালাক প্রত্যাহার ও স্ত্রীকে ফিরে পেতে মামলা করেছি। মামলার বিষয়য়ে জানতে পেরে আমার শশুর শাশুড়ি আমাকে ঈদের দিন বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
অভিযোগ তদন্তকারী ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মহসীন মন্ডল স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, পারিবারিক বিষয়ে আদালতে সালাম পৃথক দুটি মামলা করেছেন। মামলা চলমান অবস্থায় যাতে কোন ধরনের আইন অমান্য করা না হয় সে জন্য উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি। শান্ত না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, সালাম তার স্ত্রীকে ফেরত পেতে এবং শশুর শাশুড়ির অসৌজন্যমুরক আচরনের বিরুদ্ধে আমার কাছেও একটি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য বসবো। এখনো বসার সময় নির্ধারন করিনি।