সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কর্মকান্ড স্থাগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদে সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
২০ মে বৃহস্পতিবার আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাদিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নতুন কমিটি ঘোষনা ও পরবর্তি কোন সিদ্বান্ত কেন্দ্র থেকে না আসা পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্যাডে স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি হাসান রাসেদ ও রাসেল মাহমুদ শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রম পরিচালনা করার তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অপরদিকে সাদিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, গত কয়েকদিন আগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি পরিবারের সদস্য নিয়ে সাদিপুর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দিয়ে একটি কমিটি ঘোষণা করেন। সে কমিটিতে সাদিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের ছেলে খলিল সরকারকে সভাপতি ও রিয়াজুল ইসলাম রিফাত নামের এক ছাত্রদল কর্মীকে সাধারণ সস্পাদক ঘোষণা করে কমিটি করা হয়। যাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েয়ে তারা সাদিপুর ইউনিয়নে বিএনপি পরিবার হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। যুবদলের কর্মীদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
এছাড়া এ কমিটি দেয়ার ব্যাপারে অর্থ লেনদেনের অভিযোগও উঠে।এর পরিপেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটি এ সিদ্বান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
অন্যদিকে স্থানীয় একটি অনলাইনে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেল মাহামুদ জানান, ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে এক বছরের জন্য উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়েছিল। এ কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক দুজনই বিবাহিত। তাদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ছাত্রদল, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা রাখার অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত কোনো কার্যক্রমে তারা অংশগ্রহণ করেনি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ বলেন, আমরা অর্থের বিনিময়ে কোনো নেতা নির্বাচিত করিনি। কেন্দ্রঘোষিত সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছি। কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমরা সে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।