সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নংওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও রেহানা মুসকান নামের এক নারীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করায় বাদী সাঈদা শিউলিকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এমনকি বাদী সাঈদা শিউলি যাতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায় সেজন্য তার ব্যবহৃত গাড়ির রেডিয়েটর নষ্ট করে দেয় দুর্বৃত্তরা। এমন হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ২৩ মে রবিবার রাতে ফতুল্লা থানায় জিডি (নং-১০৯৩)করেন ওই নারী যিনি কাউন্সিলর খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন।
তবে এর আগে করোনার হিরো কাউন্সিলর খোরশেদ ফেসবুক লাইভে এসে জানিয়েছিলেন, সাঈদা শিউলি কাউন্সিলর খোরশেদকে বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইলের চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করেছিলেন ফেসবুকে সামান্য কথাপোকথনের জের ধরে ওই নারী তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে চান। এ ছাড়াও ওই নারীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছিলেন খোরশেদ। কাউন্সিলর খোরশেদ সিটি কর্পোরেশনের একাধিকবারের নির্বাচিত জনপ্রিয় একজন কাউন্সিলর। করোনাকালে লাশ দাফন কাফন ও সৎকার করে তিনি দেশবাসীর কাছে করোনার হিসেবে পরিচিতি পান।
এদিকে জানাগেছে, সাঈদা শিউলি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সদস্য এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ সিএনজি মালিকদের নিয়ে একটি সংগঠনের সভাপতিও তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ মে বাদী সাঈদা শিউলি ২০১৮ সনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫(২)/২৯(১)৩১(২) ধারায় ফতুল্লা থানায় কাউন্সিলর খোরশেদ ও রেহানা মুসকানের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন।
ফেসবুক লাইভে খোরশেদ ও রেহানা মুসকান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মিথ্যা অভিযোগ ও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে সাঈদা আক্তারের সম্মানহানী করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। একই সাথে খোরশেদের বিরুদ্ধে প্রতারনাও নানা রকম অপকর্মের অভিযোগ তোলেন সাঈদা।
এদিকে রবিবার রাতে দায়ের করা জিডিতে সাঈদা শিউলি অভিযোগ করেন মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামীরা তাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ২৩ মে সকালে তার বাসার সামনে এসে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার নাম ধরে গালিগালাজ এবং মামলা তুলে না নিলে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। একই সাথে সাঈদাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয় তারা।
এর আগে গত ১৯ মে দুর্বৃত্তরা তার ব্যবহৃত গাড়ির রেডিয়েটর নষ্ট করে দেয়। যাতে তিনি বের হলে দুর্ঘটনার শিকার হন।
সাঈদা শিউলি দাবী করেন, মামলার আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তাকে জানে মেরে ফেলার চেষ্টার পাশাপাশি তাকে নিয়ে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও বদনাম রটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তবে এ বিষয়ে কাউন্সিলর খোরশেদের ঘনিষ্ঠজন ও পরিবারের দাবি- কাউন্সিলর খোরশেদকে হয়রানি করার লক্ষ্যেই এসব করা হচ্ছে।