সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের অলিগলি এখন হয়ে ওঠেছে মাদকের স্পট। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্র্রায় অধিকাংশ গ্রামের বিভিন্ন অলিগলিতে এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হরদম চলছে মাদক বিক্রি।
কিন্তু রহস্যজনক কারনে পুলিশের তেমন জোরালো অভিযান দেখা যাচ্ছেনা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সোনারগাঁয়ে মাদকবিরোধী অভিযান দিয়েছে কত বছর আগে সেই পরিসংখ্যানও খুঁজে পাওয়া যায়নি। র্যাব মহাসড়কে তল্লাসী ও মেঘনা টোল প্লাজায় তল্লাসী চালিয়ে মাদকের চালান রোধ করলেও সোনারগাঁয়ের অলিগলিতে মাদকের বিকিকিনি ঠেকাতে পারছেনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
কুমিল্লা ও ভ্রাক্ষনবাড়িয়া সীমান্তে সোনারগাঁয়ের অবস্থান থাকায় খুব সহজেই মাদকের চালান ঢুকে যাচ্ছে সোনারগাঁয়ে। স্থানীয়রা বলছেন- প্রায় প্রতিটি গ্রামেই হয়ে ওঠেছে মাদকের স্পট। যেখানে এলাকায় বুক ফুলিয়েই মাদক প্রকাশ্যে বিকিকিনি করছে মাদক বিক্রয়ের সিন্ডিকেটের সদস্যরা। কারন বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় প্রভাবশালী রাজনীতিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় দাবিয়ে বেড়ায়। যে কারনে ভয়ে এলাকার সচেতন নাগরিক মাদকের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও করছে না।
কেউ কেউ বলছেন-এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের আবার মাঝে মাঝে প্রকাশ্যেই দেখা যায় সরকারি দলের নেতাদের সভা সমাবেশে। জেলার সবচেয়ে বেশি মাদকের ছড়াছড়ি সোনারগাঁয়ে। অথচ সবচেয়ে কম মাদকবিরোধী অভিযান দেখা যায় সোনারগাঁও থানা পুলিশেরই। এর পেছনের রহস্য কি তা জানাতে পারেনি স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, বিকেল থেকে সন্ধ্যার পরে এইসব এলাকায় ফেরি করে বিক্রি হয় বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। এসব এলাকায় কয়েক’শ খুচরা বিক্রেতা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের অভিযোগ, সোনারগাঁ পানাম নগরী, জাদুঘর, সোনারগাঁ থানার মাত্র কয়েক’শ গজের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি স্পট। কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যেই চলে মাদকসেবনও। কিন্তু পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে।
এছাড়াও উপজেলার কাঁচপুর, পিরোজপুর, সাদিপুর, মোগরাপাড়া, সনসান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি মাদকের কেনাবেচা চলছে। যাদের পাশে রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়া। স্থানীয় প্র্রভাবশালীরাও এসব মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা অনেক আগেই মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেভাবে তৎপরতা দেখায়নি। কয়েক মাস পূর্বে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, সোনারগাঁয়ে কোন মাদক থাকবে না। যারা মাদক বিক্রি করো মাদক বিক্রি ছেড়ে দেও। আর যারা মাদক সেবন করো তারা ভাল হয়ে যাও। নতুবা বাড়ি থেকে ধরে এনে পুুলিশে দেয়া হবে।
এর কয়েক মাস পর এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা আরেকটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘আমি মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায়, মাদক বিক্রেতাদের ধরে পুুলিশ দিবো বলায় একজন রাজনীতিক নেতা একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন আমি মাদক বিক্রেতাদের ধরে আনার কে? আমি বলতে চাই আমি মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় আপনার গায়ে লাগলো কেন? আপনি কি মাদক ব্যবসা করেন নাকি মাদকের শেল্টার দেন? এবার আমি বলতে চাই সামনে মাদকের গডফাদারদের ধরা হবে।’