সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে কালো ব্যাজ ধারণ করে নারায়ণগঞ্জের প্রায় অর্ধশতাধিক স্পটে মিলাদ মাহফিল দোয়া ও রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
৩০ মে রবিবার নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন সদর বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দিনভর ঘুরে ঘুরে কর্মসূচিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মুসা, বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সম্রাট হাসান সুজন, যুবদল নেতা ফখরুল হাসান, মাহবুবুর রহমান সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মিলাদ দোয়া ও নেওয়াজ বিরণকালে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, দেশের মানুষকে বাকশালী শাসন থেকে মুক্তি দিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গঠন করেছিলেন বিএনপি নামক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। যার মাধ্যমে দেশের মানুষ হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিল। কিন্তু একদল কুচক্রির ষড়যন্ত্রের কারনে ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সিপাহসালার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে শাহাদাৎ বরন করতে হয়। বর্তমানেও সেই একই কায়দায় দেশের মানুষের অধিকার হরনের খেলা চলছে। দেশের মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার ফিরিয়ে দেবার সেই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমরা সবাই শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে সেই যুদ্ধে অংশ নেবো এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির জয়ে ভূমিকা পালন করবো বলে আজকে শপথ নেবো।
কলাগাছিয়া ইউনিয়নে একটি কর্মসূচিতে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। দেশে গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছিল তখন তিনিই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই। এমন অবস্থায় গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করতেও দিচ্ছেনা তারা। বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করতে না দিয়ে তারা হত্যার চেষ্টা করছে।
রবিবার সকালে কায়েমপুর এলাকায় জেলা গার্মেন্টস শমিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুর মোহাম্মদের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ দোয়া ও রান্না করা খাবার বিতরণ করেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
এরপর শহরের ডিআইটিতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির প্রধাণ কার্যালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও নেতাকর্মীবৃন্দ। দোয়া মাহফিল শেষে দুস্থ্যদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বর্ষিয়ান বিএনপি নেতা মজিদ কমিশনার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসান আহমেদ, মহানগর যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি প্রমূখ।
ডিআইটি থেকে বন্দরের তিনগাঁও এলাকায় আসেন সাখাওয়াত এবং বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সম্রাট হাসান সুজনের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। দোয়া শেষে অসহায় মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।
এরপর বন্দরের কলাগাছিয়া ফরাজিকান্দা এলাকায় বন্দর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহিন আহমেদের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত।
একই এলাকায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজিত কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখান থেকে মহানগরীর বন্দরের ২৪নং ওয়র্ডের বক্তারকান্দি এলাকায় যুবদল নেতা আবদুল্লাহর উদ্যোগে আযোজিত কর্মসুচতে অংশ নেন তারা।
এছাড়াও শহরের ২নং রেল গেইটে হোসিয়ারি শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল মতিন ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বেপারীর উদ্যোগে মহানগর শ্রমিক দলের কর্মসূচি, মন্ডলপাড়ায় ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক খ.ম সুলতানের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ দোয়া ও নেওয়াজ বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।