সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের মুশুরী থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট গর্তে কোথাও হাঁটু সমান পানি। আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমে থাকে। প্রতিদিনই হালকা পরিবহন উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে পথচারীরা চলাচল করতে পারছে না। পাকা রাস্তার মাঝখানে কাদার ছড়াছড়ি। তাতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।
পাথরবাহী লড়ি ও মালবাহী ট্রাক অবাদে চলাচল করার কারণে সড়কের এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবী। সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে স্থানীয় লোকজনের ভোগান্তিও চরমে উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলা সদর, থানা পুলিশ, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস, প্রধান ডাকঘর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা লোকজনকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ইছার মাথা ও ইটবহনকারী ট্রাক চলাচল করে সড়কটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। রাতের আঁধারে এনডিই এর পাথরবাহী ট্রাক সহ মালবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়কটি দিন দিন অকেজো হয়ে পড়ছে। স্থানে স্থানে খানাখন্দের গর্তে পানি জমে থাকায় হালকা যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গাড়ীর মালিকরা।
হারিন্দা গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন ভুইয়া বলেন, সড়কটি ঝুকিপ‚র্ন হওয়ায় তাদের উ-পাদিত পণ্য সময়মতো বাজারজাত করতে পডারচেনা। তাতে র্কষকরা আর্থিক সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে পরিবহন খরচ ও সময় বেশী লাগছে। অনেকেই দশ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বিকল্প রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করতে বাধ্য হচ্ছে।
রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ছালাউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কটি এলজিইডির হলেও আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রাস্তাটি একাধিকবার সংস্কার করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। শিগগিরই সড়কটি সংস্কার করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জামালউদ্দিন বলেন, ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে। সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান ভুঁইয়া বলেন, এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সড়কের উভয় পাশ ৩ফুট প্রশস্ত করে দ্রুত সংস্কার কাজ করা হবে।