ইতিহাস গড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি: চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সারা দেশে একযোগে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ১০ জুন বৃস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে একসঙ্গে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সারা দেশে একযোগে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মডেল মসজিদগুলো থেকে ইসলামের সঠিক মর্মবাণী প্রচার হবে, ইসলামের সঠিক জ্ঞানচর্চা হবে।

নামাজের পাশাপাশি মসজিদকে ইসলামের প্রচার ও প্রসার এবং জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে আলোচিত চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক এবং সদর থানা আওয়ামীলীগ নেতা সায়েম আহাম্মেদ।

এক বিবৃতিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহাম্মেদ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।  আজকে তারই সুুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন।  সারাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

তিনি বলেন, বিশ্বের কোনো মুসলিম রাষ্ট্রের সরকার এ ধরণের উদ্যোগ নিয়েছেন কিনা আমার জানা নাই।  আজকে এক যোগে ৫০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।  তাই প্র্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

জানাগেছে, বৃস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে একসঙ্গে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত, মডেল মসজিদগুলো থেকে ইসলামের সঠিক মর্মবাণী প্রচার হবে, ইসলামের সঠিক জ্ঞানচর্চা হবে, ইসলামের সংস্কৃতি চর্চা হবে, মুসলমানরা আরও সচেতন হবে, জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় এগিয়ে যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এই মসজিদের মাধ্যমে আমাদের ইসলাম, আমাদের সংস্কৃতি, ধর্মীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দাওয়াতি কার্যক্রম—সেগুলো যেন সঠিকভাবে প্রচার প্রসার, মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, এগুলো থেকে মানুষ যেন দূরে থাকে।  ধর্মের মূল কথা সেটা যেন মানুষ সঠিকভাবে শিখতে পারে জানতে পারে।  ধর্মের চর্চা করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে মানুষ যেন জানতে পারে।

জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় মুসলামানদের হারানো ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সবকিছুতেই তো মুসলমানরা আগে এগিয়ে ছিল।  সবসময় মুসলমানরাই সামনে ছিল।  সভ্যতার দিক থেকে মুসলমানরা সবসময় আগে ছিল।  পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে শুরু করে মুসলমানরা সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।

তিনি বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্রে, জোত্যির্বিদ্যা সবকিছুতেই মুসলমানরা এগিয়ে ছিল।  প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে। আজকে কেন মুসলমানরা পিছিয়ে থাকবে।  সেটিই আমার প্রশ্ন।

লেবাসধারী মুসলমানদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্বৃত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন—আমরা লেবাস সর্বস্ব ইসলামে বিশ্বাসী নই।  আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে।

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মের নামে মানুষ খুন করা, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা—মানুষকে খুন করলে নাকি বেহেশতে চলে যাবে।  আমার প্রশ্ন যারা এ পর্যন্ত খুনখারাবি করেছে তারা কে কে বেহেশতে গেছে সেটা কি কেউ বলতে পারবে? কেউ বলতে পারবে না।  কিন্তু সবচেয়ে সর্বনাশ করে গেছে পবিত্র ইসলাম ধর্মের—যে ধর্ম শান্তির ধর্ম, যে ধর্ম মানুষকে অধিকার দিয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি সারাবিশ্বে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম।  কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো এই মুষ্ঠিমেয় লোক জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, মানুষ হত্যা করে, বোমা মেরে, খুন-খারাবি করে আমাদের এই পবিত্র ধর্মের নামে বদনাম সৃষ্টি করছে।  এটা আমাদের ধর্মের পবিত্রতা শুধু নষ্ট করছে না, ইমেজটাও নষ্ট হচ্ছে সারা বিশ্বে।

আলেম-ওলামা, শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত ওলামা, অভিভাবক, শিক্ষক সবাইকে অনুরোধ জানাবো—এই পথ সর্বনাশা পথ, এটি থেকে সবাই যেন দূরে থাকে সে জন্য সবাইকে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের অকল্যাণ করে, মানুষ হত্যা করে, একটা পরিবারকে ধ্বংস করে কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না। এটা ভুল কথা।

মসজিদের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে খুলনা, সিলেট এবং রংপুরে সংযুক্ত হয়ে মডেল মসজিদের ইমাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।