সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম। দিনব্যাপী সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন গ্রামের অলিগলিতে হাটা শুরু করেছেন কালাম। এরি মাঝে সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প যাদুঘরের সামনে তার বাসভবনে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী সমর্থক, মান্যগণ্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের ভীড় বাড়ছে। গভীর রাত অবধি তার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে তার সঙ্গে দেখা করছেন নেতাকর্মীরা। সকল লোকজনদের সময় দিতে গিয়ে এক মুহুর্তও স্থীর হতে পারছেন না। তিনি নেতাকর্মী ও মান্যগণ্য ব্যক্তিদের ডাকার আগেই তারা এসে ভীড় করছেন তার বাসভবনে।
এমনটাই দেখা গেল ১১ মার্চ সোমবার। দুুপুরে মাহফুজুর রহমান কালাম সনমান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমানের মৃত্যুতে তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে ছুটে যান সেখানে। তার জানাযায় তিনি অংশগ্রহণ করেন। এর আগে সকালেই তিনি মোগড়াপাড়া ইউনিয়নে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন এলাকায় তিনি হেটে যাচ্ছেন। যেখানে তার সঙ্গ নিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। কোন এলাকায় তিনি প্রবেশ করলেই লোকজন জমায়েত হতে হতে শোডাউনে রূপ নিচ্ছেন। এসব এলাকা ছেড়ে আবার ফিরছেন তার বাসভবনে। বাসভবনে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথাও বলছেন তিনি।
সোমবার সন্ধায় তিনি নেতাকর্মী ও মুরুব্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি দলটাকে ভালবাসি। নেতাকর্মীদের ভালবাসি। আমার পাশে থেকে রাজনীতি না করলেও যদি কোন আওয়ামীলীগের কর্মী বিপদে পড়ে তাহলে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি তার পাশে থাকার। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি তাদের কোন সমস্যা হলেও আমি চেষ্টা করেছি তাদের বিপদে পাশে থাকার। শুধু নেতাকর্মী নয় সোনারগাঁয়ের আপামর জনসাধারনের যে কেউ বিপদে পড়লে কিংবা সমস্যায় পড়লে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আপনারা আমাকে একটাবার সুযোগ দিন। আমাকে সুযোগ দিয়ে দেখুন আমি আপনাদের সেবা করতে পারি কিনা।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমি দলের জন্য কাজ করেছি। আমি নৌকা পাইনি সেটা আমার ভাগ্য। নৌকা প্রতীক দিলেও দল থেকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে নির্বাচন করার জন্য। দলের নির্দেশনা রয়েছে যে কেউ নির্বাচিত হয়ে আসলে তাকে আওয়ামীলীগ স্বাগত জানাবে। দল থেকে আমার উপর কোন বাধা নিষেধ নাই। তাই আমাকে একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন আপনাদের সেবা করতে পারি কিনা।’
জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। তিনি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন কায়সার হাসনাত। ওই নির্বাচনে কায়সার হাসনাতের পক্ষে ছিলেন মোশারফ হোসেন। নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা আগে কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে যান। কিন্তু ওই নির্বাচনে মহাজোটের বিরুদ্ধে গিয়ে নেতাকর্মীরা কায়সার হাসনাতের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে হামলা মামলার শিকার হলেও নির্বাচনের পর তাদের কোন খোজ খবর রাখেননি কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। যে কারনে তাদের বলয়ে বেশ ভাটা পড়েছে। এমনকি সোনারগাঁয়ে একটি পৌরসভা ও দশটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম সমর্থন করেছেন কালামকে। এমনকি যে সব চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তারাও কালামের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। কালামের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশা। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূ্ইঁয়াও নৌকা প্রার্থীর সঙ্গে দেখা যায়নি এখনও।