সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে আধিপত্য ও বালু ভরাট নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিন জন নিহতের ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে একপক্ষের দায়েরকৃত একটি মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি নারায়ণগঞ্জ।
১৪ জুন সোমবার দুপুরে ফতুল্লা থানাধীন হোসেন সরদার রোড সুন্দরবন রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি মিডিয়াতে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক মো. আবু তাহের খান।
তিনি জানান, আলাউদ্দিন হত্যা মামলার আসামি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নয়াগাঁও গ্রামের হাজি আলাউদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান ওরফে সাদেক মোল্লার আধিপত্য বিস্তার ও একটি কোম্পানির বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে কামাল, গোলজার, বাদল, আরিফ সহ ২০-২৫ জনের একটি দল রামদা, বল্লম, চাপাতি, লোহার রড নিয়ে ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমানের দোকানে হামলা চালান। হামলায় সাদেকুর রহমান, বরজাহান, রেখা, তাসলিমা, সায়বা, জাবেদ, জিসানসহ ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। সাদেকুর রহমানের স্বজনদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাদেকুর রহমানের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলাউদ্দিনের পক্ষের লোকের বাড়িঘরে হামলা চালান। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে আলাউদ্দিন পক্ষের সমর আলী, জাহিদুল ইসলাম, মাহিলউদ্দিন, মোশারফ, নুর নবী, নিলা, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল আলীসহ ৮ জন ও সাদেক পক্ষের খোরশেদ আলম, সাইদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, বিপ্লব, সুমন, শাকিল, মাহফুজ, ছোট সুমনসহ ১২ জন আহত হন। এঁদের মধ্যে সমর আলী সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরবর্তীতে আলী আহাম্মদ ও সাইদুল ইসলাম নামে আরও দুজন মারা যান। উভয় পক্ষের তিনজনের মৃত্যু ঘটে।