সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ নগর-বন্দরের প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রীর শীতলক্ষ্যা নদী পারাপার করতে হয়। তবে করোনাকালে লকডাউনে আগের চেয়ে যাত্রী কম হলেও ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রী যাতায়াত করে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বন্দর ঘাটে সুষ্ঠ পরিচালনার কারনে নিরাপদে যাত্রীরা পারাপার হতে পারছে। ঘাট পরিচালক দিদার খন্দকারের সুদক্ষ পরিচালনায় লকডাউনেও বন্দর নগরীর কয়েক হাজার যাত্রী নিরাপদে ট্রলার দিয়ে পার হতে পারছেন। মুলত এমপি একেএম সেলিম ওসমানের নির্দেশনায় দিদার খন্দকার যাত্রীদের নিরাপদে পারাপারে দায়িত্ব পালন করছেন।
যাত্রীরা বলছেন, ২৩ জুন বুধবার ট্রলার ঘাটটি চলাচলে বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এর কারণে সন্ধ্যায় বাসা উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও প্রায় ২ ঘণ্টা পর নৌকা উঠতে পারি। তাও নৌকা উঠেছিল প্রায় ২২/২৫ জন। সবার কাছ থেকে ১০ টাকা করে ভাড়া নিলেও খুব ঝুঁকিতে নৌকা দিয়ে পাড় হই। তখন বুঝতে পারলাম, মাত্র ২টাকা দিয়ে নিরাপদে ট্রলার দিয়ে পারাপার হয়। আজ অনেকদিন পর নৌকা উঠে সে-কথা মনে পড়লো। তখনো এমপি সেলিম ওসমানের জন্য দোয়া করলাম।
ঘাট পরিচালক দিদার খন্দকার বলেন, নারায়ণগঞ্জের দানবীর এমপি একেএম সেলিম ওসমান সাহেবের নির্দেশনায় শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট দূরীকরণে বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাটের ট্রলার চলাচল অব্যাহত রয়েছে। লকডাউন শুরু আগে থেকে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রলার চলাচল করে যাচ্ছি। কিছু সময় যাত্রী পারাপারে মানুষের চাপ বেশি থাকে। তখনো আমাদের ট্রলার চালক, হেলপার ও দুই পাড়ে দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তারা দক্ষতার সাথে নিরাপদ পারাপার নিশ্চিত করে।
তিনি আরও বলেন, ঘাটে যেনো কোনভাবে মানুষ পারাপার ভোগান্তি সৃষ্টি না হয় সে রকম নির্দেশ দিয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান সাহেব। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের ঘাট পরিচালনায় কোনো ঘাটতি হয়নি কখনো এবং কখনো দুর্ঘটনার শিকার হয়নি বরং মানুষ নিশ্চিত নিরাপদ পারাপার হয়ে আমাদের জন্য দোয়া করেছেন। নগর-বন্দরবাসী এমন পরিস্থিতিতে নিরাপদে পারাপারে এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।
তিনি জানান, অনেক শিশু-কিশোর নিয়ে মহিলারা ট্রলার দিয়ে পারাপার করে যাচ্ছে। ২২জুন থেকে লকডাউন শুরু থেকে আমরা প্রতিটি সেকেন্ড স্বাস্থ্য বিধি মেনে ট্রলার চলাচল করে যাচ্ছি। জেলা প্রশাসন থেকে একদিন ট্রলার ঘাট বন্ধ রাখলেও উপচে পড়া মানুষের ভিড়ের কারণে পরের দিন পুণরায় চালু করে দেয়া হয়।