সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা তৈরি করে জেলা আওয়ামীলীগের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। তবে কমিটির জমা দেয়ার পরে বিএনপি জামাতের পৃষ্টপোষক, বিএনপি জামাতের লোকজন ও বিএনপি জামাত পরিবারের লোকজনদের রাখা হয়নি বলে প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপি-জামাতের এজেন্ডরা। এমনটাই দাবি করেছেন সদর থানা আওয়ামীলীগের নেতারা।
৩০ জুন বুধবার স্থানীয় একটি পত্রিকায় আলীরটেক ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সদর থানা আওয়ামীলীগ নেতা সায়েম আহম্মেদের ছবি ব্যবহার করে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে সংবাদ প্রকাশিত হয় বলে অভিযোগ করা হয়। উক্ত সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগের কাছে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজির মাদবর ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি জেলা আওয়ামীলীগের কাছে জমা দিয়েছি। কমিটিতে বিএনপি জামাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত, বিএনপি জামাত হেফাজতের পৃষ্টপোষক কিংবা বিএনপি জামাতের পরিবারের কাউকে রাখা হয়নি। আমরা কারো কোনো তদবিরে কিংবা কারো অনুরোধে অথবা কোনো কিছুর বিনিময়ে কাউকে কমিটিতে নাম দেইনি। অনেকের অনৈতিক তদ্ববির আমরা শুনিনি। যে কারনে তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলে মিডিয়াতে বক্তব্য দিচ্ছেন।
নুরুজ্জামান সরকারের দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে তারা বলেন, মুলত সামনে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে বিএনপি জামাতের পৃষ্টপোষক সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নির্বাচন করতে চায়। একই সঙ্গে সায়েম আহাম্মেদও নির্বানের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। নুরুজ্জামান সরকার মুলত জাকির হোসেনের মতই বিএনপি-জামাতের পৃষ্টপোষক এবং সে জাকির হোসেনের লোক। সায়েম আহম্মেদ জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ করে। তার পরিবারও আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত। সায়েম আহম্মেদকে যোগ্য মনে করেই এ কমিটিতে রাখা হয়েছে। এখন সায়েম আহাম্মেদকে সরাতে পারলে জাকির হোসেনের জন্য আলীরটেক ইউনিয়নে নির্বাচনী সুবিধা হয়। আর সেই লক্ষ্যেই নুরুজ্জামান সরকার সদর থানা আওয়ামীলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। নুরুজ্জামান সরকার দীর্ঘদিন বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান সহ বিএনপি জামাতের লোকজনকে পৃষ্টপোষকতা করছে। আমাদের নেতা একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, কমিটিতে যেনো কোনো বিএনপি-জামাতের পৃষ্টপোষক কিংবা বিএনপি জামাতের কাউকে কমিটিতে না রাখি। আমরা সেভাবেই কমিটি গঠন করে জমা দিয়েছি। নুরুজ্জামান সরকারের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সে বিএনপি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই মিডিয়াতে এ ধরণের বিভ্রান্তিমুলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
সায়েম আহাম্মেদ সম্পর্কে তারা বলেন, সায়েম আহাম্মেদকে আমরা কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রেখেছি। সে আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সদর থানা আওয়ামীলীগের সকল কার্যক্রমে সক্রিয় ভুমিকা রাখছে। আলীরটেকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান সায়েম আহাম্মেদ। দলকে শক্তিশালী করতে সে ভুমিকা রাখছে এবং ভবিষতেও সদর থানা আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে কাজ করবে। তাই আমরা তাকে রেখেছি।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক, জেলা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সওদাগর খান বলেন, নুরুজ্জামান সরকার যখন আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয় তখন আমার বয়স কম থাকায় আমি সাধারণ সম্পাদক হইনি। নতুবা তার মত ব্যক্তি এই দায়িত্ব পেতোনা। দায়িত্ব পেয়ে সে বিএনপি জামাতকে পৃষ্টপোষকতা দিয়েছে। এই সরকারের আমলেও সে বিএনপি জামাতকে আলীরটেকে শেল্টার দিচ্ছে।
সায়েম আহাম্মেদ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, আমার বাবা যখন রাজনীতি করতেন, তখন এই সায়েম আহাম্মেদের পরিবারের লোকজন আমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করতেন, সভা সমাবেশে যেতেন। সায়েম ঐতিহ্যবাহী বোদ্দা পরিবারের সন্তান। আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। আলীরটেক ইউনিয়নে আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে সায়েম আহম্মেদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের ভুমিকা রয়েছে। তারা ছিলেন আওয়ামীলীগের ধারক বাহক। আলীরটেকে যেখানে ১০০টা ভোট ছিল সেখানে সায়েম আহাম্মেদের পরিবার ও তার আত্মীয়স্বজনের ভোট থাকতো ৭০টি। এসব তো নুরুজ্জামান সরকার নিজেও জানে। আর সেই সায়েম আহাম্মেদের দিকে আঙ্গুল তুলেছে নুরুজ্জামান সরকার। যে নুরুজ্জামান সরকার বিএনপি জামাতকে পৃষ্টপোষকতা দিয়েছে। নুরুজ্জামান সরকার কোনোদিন দলীয় সভা সমাবেশে আসেনি। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কোনো একটি মিটিংও করেনি। তার চারপাশে বিএনপি জামাতের লোকজনদের দেখা যায়। সায়েম রাজনীতিতে পুরোদমে আসায় সদর থানা আওয়ামীলীগের রাজনীতি আরো বেশি সক্রিয় হচ্ছে এবং তাকে কমিটিতে রাখলে আমি মনে করি সদর থানা আওয়ামীলীগের রাজনীতি আরো বেগবান হবে।
আলীরটেক গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান, সদর থানা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ি, কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এস.টি আলমগীর সরকার বলেন, সায়েম আহম্মেদ ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তার কখনও দলীয় পদ পদবীর লোভ ছিলনা। নিঃস্বার্থ ও নিরলসভাবে দলের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই সায়েম আহম্মেদকে দলের স্বার্থে যোগ্য মনে করেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। এখন কেউ যদি বিএনপি-জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নানা বিভ্রান্তিমুলক বক্তব্য দেয় তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।
আমি নিজে একজন শহীদ পরিবারের সন্তান। বুঝ হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তৃনমূল আওয়ামী লীগ ও শহর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তারা সকলেই অবগত।
আলীরটেক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসমাঈল মাতবর বলেন, নুরুজ্জামান সরকার কোনোদিন আওয়ামীলীগের মিটিং মিছিলে ছিল না। ইউনিয়ন কমিটি হওয়ার পর তাকে কোনোদিন দলীয় কর্মকান্ডে দেখা যায়নি। সে বিএনপি জামাতকে পৃষ্টপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। ২০/২২ বছর পূর্বে ইউনিয়ন কমিটি হলেও সে দলীয় কোনো সভা করেনি। অথচ সায়েম আহাম্মেদ আলীরটেকে আওয়ামীলীগকে চাঙ্গা রাখছে, সেখানে নুরুজ্জামান সরকার বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এই সায়েম আহম্মেদ আওয়ামী লীগের চালিকা শক্তি। তার যোগ্য নেতৃত্বের কারনে আলীরটেক আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জে পরিচিত লাভ করেছে।
৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, নুরুজ্জামান সরকার আওয়ামীলীগের পদে থেকেও বিএনপি-জামাতকে পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছে। জাকির হোসনে যখন চেয়ারম্যান ছিল তখন সে বিএনপি জামাতের লোকজন নিয়ে সুবিধা ভোগ করেছে। এখন সে আবারো স্বপ্ন দেখছে জাকিরকে নিয়ে বিএনপি জামাতকে প্রতিষ্ঠিত করতে। সায়েম আহম্মেদ এর পরিবার মানেই আলীরটেক আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তার পরিবার জড়িত।সায়েম আহম্মেদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক এবং ছোটকাল থেকে সায়েম তৃণমূল আওয়ামীলীগের সাথে জরিত।
৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জুনু বলেন, নুরুজ্জামান সরকারের সঙ্গে সব সময় বিএনপি জামাতের লোকজনদের দেখা যায়। আর সায়েম আহাম্মেদ আলীরকেট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রাণভ্রমরা হিসেবে আভির্ভূত হয়েছেন । সে সব সময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পাশে থাকেন সে এক জন সত্যিকারের আওয়ামীলীগ নেতা তার বিরুদ্ধে কোন সরযন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না ।
১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহান উল্লাহ বলেন, সায়েম আহাম্মেদের মাধ্যমে আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে। সায়েম আহাম্মেদ সকলের খোঁজখবর রাখছেন। কিন্তু নুরুজ্জামান সরকারের মত ব্যক্তিরা কোনোদিন আওয়ামীলীগ নেতাদের খোজখবর নেয়নি। বিএনপি জামাতের লোকজনদের নিয়ে কাজ করেছে, এখনও করছে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শুক্কুর আলী মেম্বার বলেন, নুরুজ্জামান সরকারের সঙ্গেই তো সারাক্ষন বিএনপি জামাতের লোকজনকে দেখা যায়। সে কখনও আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করেনি, সে বিএনপি জামাতের লোকজনদের হয়ে কাজ করেছে। আর সায়েম ছোটকাল থেকে আমাদের সাথে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ৯৬ ও ২০০১ সালে একেএম শামীম ওসমানের নির্বাচনে আমাদের সাথে কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে পরিচালনা করেছেন এবং সেই থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে আমাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে। তার মত সাচ্চা আওয়ামীলীগের কর্মী বর্তমানে পাওয়া মুশকিল।
আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো.মনির হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেম, আওয়ামী লীগ নেতা আঃ হাকিম, মো. আবুল হোসেন সহ তৃণমূল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলেন, যে সময় জামাত বিএনপির ভয়ে আওয়ামী লীগের নাম মুখে নিতে ভয় পেতো সেই সময় থেকে সায়েম আহম্মেদ সহ সায়েম আহম্মেদ এর পরিবার জামাত – বিএনপির ভয়কে উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের করে আসছে। এই সায়েম আহম্মেদ এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আলীরটেক আওয়ামী লীগ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তারা বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে জামাত – বিএনপি বর্তমানে কোনঠাসা। তাই জামাত – বিএনপির প্রেতাত্মারা সায়েম আহম্মেদ এর বিরুদ্ধেে উঠেপরে লেগেছে। বিভিন্ন পত্রিকায় অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা প্রকাশিত মিথ্যা বিভ্রান্তমূলক অসত্য সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।