সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আসনভিত্তিক সুবিধার্থে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের পর বিএনপির দুই নেতার মামলায় আদালত মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের বয়স যতই বাড়ছে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ্যতার দিকে ঝুঁকছেন বেশি। মহানগর বিএনপির কার্যক্রমে তিনি থাকতে পারছেন না। সেক্রেটারি এটিএম কামাল রয়েছেন আমেরিকায়। দুজনই যখন পুরোপুরি নিস্ক্রিয় তখন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু চালাচ্ছেন একাংশের কার্যক্রম। যা সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জনকে স্মারকলিপি দেয়া কর্মসূচিতেও দেখা গেল একই দশা।
দীর্ঘদিন এমন পরিস্থিতি চলাবস্থায় উল্টা দিকে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান মহানগর বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের নিয়ে সচল রেখেছেন মহানগর বিএনপির কার্যক্রম। আগলে রেখেছেন নেতাকর্মীদের। সান নারায়ণগঞ্জের কাছে নেতাকর্মীরা বলছেন- বর্তমান কমিটি করোনা পরিস্থিতি শিথিল হলেই ভেঙ্গে দেয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যেখানে আবুল কালাম ও এটিএম কামালের পর মহানগর বিএনপির হাল ধরার মত নেতা কেবল সাখাওয়াত হোসেন খান। মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালনের মত যোগ্য আর কাউকে দেখছেন না নেতাকর্মীরা। তারা মনে করেন সামনের কমিটিতে সভাপতি পদে সাখাওয়াতের কাঁধেই যাচ্ছে দায়িত্ব। তিনি অটোমেটিক চয়েস হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
তবে নেতৃত্ব সংকট তৈরি হবে সাধারণ সম্পাদক পদেও। নেতাকর্মীরা মনে করেন- জালাল হাজীর পরিবারকে টিকিয়ে রাখবে দল। যে কারনে আবুল কালামকে সরিয়ে দিলে সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাবনা জাগবে আবুল কাউসার আশার। যিনি বর্তমানে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আবুল কালামের ছেলে। তবে আরেকটি পক্ষের এখনি দাবি ওঠেছে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে নিয়ে। করোনাকালে তার প্রসংশনীয় ভুমিকায় তিনি বেশ আলোচিত হয়েছেন। একইভাবে তিনি একটি নারী ঘটিত বিষয়ে ইমেজ সংকটে পড়েছেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় বিএনপি আমলে নিলে সেক্রেটারি পদে থাকতে পারেন আশাই। তারপরেও রাজনৈতিকভাবে দুটি প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান খোরশেদ ও আশা। কর্মীদের কেউ কেউ খোরশেদকে আবার কেউ কেউ আশাকেই এগিয়ে রাখছেন।
এদিকে জানাগেল, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করা হয়। ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহামুদের নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।
এর আগে মহানগরীর মুল এলাকা সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং থেকে ১০নং ওয়ার্ড এলাকাকে জেলা বিএনপির সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করে কমিটি গঠন করায় বিএনপি নেতা গোলজার খান আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৪ এর ক অনুচ্ছেদ লংঘণের দায়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত মহানগর বিএনপির সকল সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। তবে যে কারনে স্থিতিবস্থা দিয়েছিলেন আদালত, সেই একইভাবে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাটি জেলা বিএনপির সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত রেখেই জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়।