সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও কথিত সমাজকর্মী ফেরদৌসী আক্তার রেহানার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
৬ জুলাই মঙ্গলবার অভিযুক্ত দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুজ্জামান।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি নামের এক নারীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর, বানোয়াট ও মিথ্যা কাহিনি সাজিয়ে কুৎসা রটানোর অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার ওরফে খোরশেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছিলো। মামলায় খোরশেদের পক্ষ নিয়ে লাইভে এসে সায়েদা শিউলির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায় ফেরদৌসী আক্তার রেহানাকেও আসামি করা হয়।
গত ১৭মে সোমবার দুপুরে সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলার বাদী ফতুল্লা থানার ৩২১ নম্বর উত্তর চাষাঢ়ার মৃত জহিরুল হকের মেয়ে। তিনি কাউন্সিলর খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছিলো, বাদী নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সিএনজি অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও বিজেএমইএর সদস্য। ব্যবসার কাজে প্রায় সময় তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়। বিবাদী খোরশেদের সঙ্গে তার পরিচয় ছেলেবেলা থেকে। এর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। সে ঘরে সন্তানও রয়েছে। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে খোরশেদ এবং বাদী ফেসবুক মেসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। একপর্যায়ে খোরশেদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০২০ সালের ২ আগস্ট কাঁচপুরের এসএস ফিলিং স্টেশনে শিউলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে তাকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর তারা বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গে রাতযাপন করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় বাদী ব্যবসায়িক কাজে দুবাই চলে গেলে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল কাউন্সিলর খোরশেদ তার ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মানহানিমূলক তথ্য উপস্থাপন করেন এবং বাজে মন্তব্য করেন। একদিন পর ২৫ এপ্রিল ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান নামের এক নারী খোরশেদ খন্দকারের বাসায় বসে লাইভে এসে তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন। বাদীকে রাস্তার মেয়েদের সঙ্গে তুলনা করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন এবং তার চুল কেটে দেয়ার হুমকি দেন। পরে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং বর্তমানে দেশেই অবস্থান করছেন।
বাদী সায়েদা আক্তার শিউলি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমি এ মামলা করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার পাব। তিনি সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।