সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
এরি মাঝে দাঁড়ানো নিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত হাসেম ফুডস কারখানার সামনে ১৩ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের লাটিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে হয়েছে।
দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল উপজেলার কর্নগোপ এলাকারহাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানার ভবন পরিদর্শনে আসেন।
এসময় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সামনের সারিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এর অনুসারী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপুকে ধাক্কা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
এ নিয়ে গেইটের সামনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দুই গ্রুপের সদস্যরা হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে নেতারা বাইরে বের হলে উভয় গ্রুপ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। দুইপক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল ছুড়তে শুরু করে।
সংঘর্ষকালে কারখানায় বেতন নিতে আসা শ্রমিকরা আতঙ্কে ছুটাছুটি শুরু করেন। সংঘর্ষে নাসির উদ্দিনসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরে পুলিশ লাটিচার্জ করে ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।