সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার বেলী ব্রিজটি ভেঙ্গে হতে যাচ্ছে পাকা ব্রিজ। উপজেলার বারদী ইউনিয়ন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের প্রতিদিন চলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির উপর দিয়ে আনন্দবাজারের সামনে রয়েছে বেলী ব্রিজটি। এই ব্রিজটি নিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মানুষের। এবার স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার আপ্রাণ চেষ্টায় নতুন পাকা ব্রিজটি হতে যাচ্ছে।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রাস্তাঘাট ও ব্রীজ সহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (এলজিইডি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। বৈঠকে সোনারগাঁয়ের রাস্তা ঘাট ব্রীজের চলমান কাজগুলোর দ্রুত সম্পন্ন করা নিয়ে এবং কাজের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এমপি খোকার কার্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে চলমান উন্নয়নমুলক কাজগুলো পরিদর্শন করেছেন এমপি খোকা। একই সঙ্গে এর আগে বৈঠকে আরো বেশকটি উন্নয়নমুলক কাজের প্রস্তাবনা দেয়া হয়। এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ অংশে যানজট নিরসন ও সোনারগাঁওয়ে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ এবং সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ফুটওভার ব্রীজ ও মোগরাপাড়া থেকে আনন্দবাজার হয়ে তালতলা সড়ক পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা বলছেন- এসব কাজগুলো সম্পন্ন হলে সোনারগাঁয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে এমপি খোকা হয়ে ওঠবেন উন্নয়নের রূপকার হিসেবে একজন জনপ্রতিনিধি। যিনি এমপি হওয়ার পর থেকে সোনারগাঁয়ের স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্টের উন্নয়ন কাজ করেছেন। উন্নয়নমুলক কাজে শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে এমপি খোকা ছুটে চলেছেন।
চলমান কাজগুলো হলো-
উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হয়ে আনন্দবাজার থেকে তালতলা ২০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজ। রাস্তাটি হবে ৩৬ ফিট প্রশস্ত। এই রাস্তার মধ্যে ১২টি পুরাতন ব্রীজ ভেঙ্গে হচ্ছে নতুন ব্রীজ।
উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হয়ে মেনিখালী খালপাড় হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত নতুন ৩ কিলোমিটার নতুন বাইপাস রাস্তা নির্মাণ করা হবে। মৌগরাপাড়া চৌরাস্তার বাজারের শেষ প্রান্তে হবে আরেকটি ফুটওভার ব্রীজ। ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হিসেবে আনন্দবাজার ও বৈদ্যেরবাজার সেতু পুণসংস্কারের কাজ আগামী ১ মাসের মধ্যে শুরু হবে।
শহীদ মজনু পার্কের বিজয় স্তম্ভের থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর হয়ে পানাম বাজার পর্যন্ত প্রশস্ত ও সংস্কার কাজ। যার মধ্যে জাদুঘরের সামনে বেইসের মোড়ে ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজ করা হবে।
এ ছাড়াও বৈদ্যেবাজার, নোয়াগাঁও ও বারদী ইউনিয়নবাসীর বহুল আকাঙ্খিত বেলি ব্রীজটি ভেঙ্গে সেখানে হবে পাকা ব্রীজ। যার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। আগামী আগস্ট মাসে এর কাজ শুরু হবে।
এ ছাড়াও আরো দুটি কাজ প্রস্তাবনায় রেখেছেন এমপি খোকা। কাজ দুটি হলো- সোনারগাঁও পৌরসভা গোল চত্ত্বর থেকে উদ্ধবগঞ্জ বটতলা পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ। জাদুঘরের ১নং গেট পর্যন্ত ৩৬ ফিট আরসিসি ঢালাই রাস্তাটি। এ ছাড়াও জাদুঘরের সামনে থেকে বেইস হয়ে থানা রোড পর্যন্ত রাস্তার কাজ।
পরিদর্শন শেষে এমপি খোকার নিজস্ব কার্যালয়ে বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল সোনারগাঁওকে নিয়ে সওজ কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের এই অংশে যানজট নিরসনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার কাঁচাবাজার সংলগ্ন আরেকটি ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি চৌরাস্তা থেকে আনন্দবাজার হয়ে তালতলা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তা পুণঃসংস্কার ও ১৮ ফিট থেকে ৩৬ ফিটে বর্ধিত করা হবে। এই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা সহজলভ্য করতে মেনিখালী সেতু থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত নতুন ৩ কিলোমিটার নতুন বাইপাস রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হিসেবে আনন্দবাজার ও বৈদ্যেরবাজার সেতু পুণসংস্কারের কাজ আগামী ১ মাসের মধ্যে শুরু হবে।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় লোকাল যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে গোলচত্ত্বর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
সোনারগাঁওয়ের সড়ক পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী প্রকৌশলী তারেক হোসেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুম, জাতীয় সেচ্ছাসেবকপার্টির কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বাবু, জাতীয় পার্টি নেতা শামীম আহম্মেদ, জামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হানিফ ভুঁইয়া, জাতীয় পার্টির নেতা মুক্তার হোসেন প্রমুখ।