সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১২’শ আইনজীবীর স্বপ্নের ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শণ করেছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী তিন এমপি। ওই সময় ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়ার কাছে জানতে চান নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের মহাজোটের এমপি একেএম সেলিম ওসমান। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে সভাপতি ও সেক্রেটারিকে তাগিদ দেন এমপি সেলিম ওসমান। ওই সময় তিন এমপি জুয়েল মোহসীনের প্রসংশাও করেন।
এখানে উল্লেখ্যযে, এমপি সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের ১২’শ আইনজীবীদের কল্যাণে ৮তলা বিশিষ্ট ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণে তিন কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করেন। সর্বপ্রথম তিনিই আইন মন্তীর কাছে প্রায় দুই বছর পূর্বে এখানে অঅইনজীবীদের জন্য ডিজিটাল বার ভবন করে দেয়ার অনুমতি চান। পরে আইনজীবী এতে অনুমতি দিলে সেলিম ওসমান ধন্যবাদ জানান। পরবর্তীতে যাবতীয় আইনি কার্যাবলী ও জটিলতা নিরসনে কাজ করেন সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। ইতিমধ্যে সেলিম ওসমান দেড় কোটি টাকা সমিতির বরাবর প্রদান করেছেন। এছাড়াও আইন মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীকও এক কোটি টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেছেন।
১৬ মার্চ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ডিজিটাল ৮তলা বিশিষ্ট বার ভবনের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখতে যান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএস সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। একই সময়ে যেখানে বার ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল হাই, জেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার্স অব কর্মার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খালিদ হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, জিপি অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এই তিন এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের আগমনের খবরে আদালত বন্ধের দিনেও কয়েক’শ আইনজীবী আদালতপাড়ায় জড়ো হন। সমিতির কার্যকরী পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আহমদ ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ মোল্লা, আপ্যায়ণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, লাইব্রেরী সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুবাস বিশ^াস, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন, সমাজ সেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদ ভূঁইয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া, কার্যকরী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাবিব উল হাসান রনি, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান তানিয়া, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান সহ আইনজীবী সমিতির সিনিয়র ও জুনিয়র অন্যান্য আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এখানে আরও উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জে ১২’শ আইনজীবীদের জন্য হতে যাচ্ছে এই ৮তলা বিশিষ্ট ডিজিটাল বার ভবনটি। এই ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। গত পরিষদ থেকে ভবন নির্মাণে কাগজপত্রের কাজ শুরু করেন জুয়েল মোহসীন। চলছি বছরের ২৪ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৭টি পদের মধ্যে ১৬টি পদেই আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে আইনজীবীরা নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে এমপি একেএম সেলিম ওসমান ১ কোটি টাকা সমিতির ভবন নির্মাণের জন্য অনুদান পরিশোধ করেন। নির্বাচনের পর তিনি আরও ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেন। গত বছরে এমপি সেলিম ওসমান তিন কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন। আইন মন্ত্রী আনিসুল হক ও বর্তমান পাট বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর এক কোটি টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দেন। প্রাথমিক পর্যায়ে পুরাতন ভবনটি ভাঙ্গতে অনেক সিনিয়র আইনজীবীরা বিরোধীতা করেছিলেন। সেলিম ওসমান অনুদানের টাকা দিবেন নাকি দিবেন না তা নিয়ে বেশ প্রচার অপপ্রচারও ছিল আদালতপাড়ায়। কিন্তু সেই প্রচারকে পিছনে পেলে এখন যখন ভবন নির্মাণের দিকে তখন সকল আইনজীবীদের প্রসংশা পাচ্ছেন জুয়েল মোহসীন।