সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা সমাজতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও সাইফুল ইসলাম শরীফের বিরুদ্ধে গার্মেন্টসের ব্যবসার ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ও ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগে আরো একটি মামলা দায়ের করা করা হয়েছে।
১১ আগস্ট বুধবার নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ‘খ’ অঞ্চলের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন গার্মেন্টসের ওয়েস্টেজ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
উল্লেখ থাকে যে, ১০ আগস্ট মঙ্গলবার একই আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেছিলেন ওয়েস্টেজ ব্যবসায়ী সুমন।
মামলার বিবরণে জানা যায়- ১নং আসামী সাইফুল ইসলাম শরীফ বাদী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের বন্ধু ছিলেন। গত দেড় বছর পূর্বে গার্মেন্টসের ওয়েস্টেজ ব্যবসা করার জন্য বাদি জাহাঙ্গীর এডভান্স বাবদ সাইফুল ইসলাম শরীফকে ৬ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।
আসামি শরীফ এডভান্স টাকা নেওয়ার পরে দুই-তিনবার নগদ টাকায় গার্মেন্টসের থান কাপড় দেন বাদি জাহাঙ্গীরকে। এরপর তারা আর জাহাঙ্গীরকে গার্মেন্টসের ওয়েস্টেজ মালামাল না দিয়ে বেশি টাকায় অন্যত্র বিক্রি করে দিতে থাকেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীফ বাদীর সাথে নানা টালবাহানা করে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, পাওনা টাকা চাইতে গেলে শরিফ বাদি জাহাঙ্গীরকে কোন পাত্তাই দেয় না। ফতুল্লা থানাধীন চৌধুরী কমপ্লেক্স এলাকায় অবস্থিত বাসদ এর কার্যালয়ে বসে শরিফ ও তার সহযোগী অন্যান্য বামপন্থী নেতারা গার্মেন্টসের ব্যবসা ও বিভিন্ন মালামাল এর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিভিন্ন গার্মেন্টসের মালিকদের কাছ থেকে শ্রমিক অসন্তোষের কথা বলে চাঁদা দাবি করে। তারা রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যায় এবং এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কে জিম্মি করে রাখে।
গত ৮ আগস্ট মামলার বাদী শরীফ পাওনা টাকা চাইতে চৌধুরী কমপ্লেক্সে অবস্থিত বাসেদের কার্যালয় গেলে বিবাদী শরীফসহ উল্লিখিত আসামিরা এবং অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জন ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীরকে মারধর করে নীলা ফুলা জখম করে এবং পাওনা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে ও এই বলে হুমকি প্রদান করে যে, তোর টাকা ফেরত দেব না। এ ব্যাপারে মামলা মোকদ্দমা করলে বা কাউকে কিছু বললে জীবনে শেষ করে ফেলব।
বুধবার ১১ আগস্ট মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত ফতুল্লা থানা পুলিশকে এর তদন্তভার অর্পণ করেন।
মামলার বাদী জাহাঙ্গীর জানান, আসামিরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে তাকে হুমকি প্রদান করছে। এমনকি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। তাই প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে দায়ীদের যথাযোগ্য শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।