সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র প্রতিটি কক্ষে করোনার প্রথম ডোজের টিকা প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভীড়। একই সাথে দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রত্যাশীদের তারিখ হওয়ায় ভীড় সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র কর্মকর্তাদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কোন কক্ষই খালি নেই। সকল কক্ষেই প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে। একই দিনে দ্বিতীয় ডোজের টিকা। স্থানসংকুলান না হওয়ায় অবশেষে বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন করলেন বিকল্প ব্যবস্থা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বাইরেই প্যান্ডেল করে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহনের ব্যবস্থা করে দিলেন তিনি।
বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ১৪ আগষ্ট শনিবারও ছিল করোনার টিকা নিতে আসা জনগনের উপচে পড়া ভীড়। যারা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন এবং যাদের টিকা গ্রহনের তারিখের ম্যাসেজ মোবাইলে আসেনি তারাও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভীড় করছেন।একই দিনে প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার সময় নির্ধারণ হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বাড়তি চাপ পড়েছে।
বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভেতর প্রথম ডোজের টিকা দেয়ার স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাইরে প্যান্ডেল করে দ্বিতীয় ডোজের টিকার স্থান নির্ধারণ করতে হয়েছে।আর এ কাজে সার্বিক সহযোগীতা করেছেন বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন।এ ছাড়া করোনা রোগীদের জন্য ফ্রি অক্সিজেন সেবাসহ করোনাকালিন সময়ে এলাকার কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন এহসান উদ্দিন চেয়ারম্যান।
বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সিনোফার্মার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে আসা রহিম নামে বালুচর এলাকার এক বাসিন্দা জানান,এহসান চেয়ারম্যান যদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বাইরে প্যান্ডেল করে না দিতেন তাহলে আজ আমাদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়া হতো না। কমপ্লেক্স এর ভেতর একটি কক্ষও খালি নেই।সব কক্ষেই প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে।বাইরে প্যান্ডেল করে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার মহতি এ কাজে এহসান চেয়ারম্যানকে ধন্যবান জানিয়েছে টিকা নিতে আসা বন্দরবাসী।