সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার মাঠে নির্মিত শোক দিবসের আলোচনা সভা ও কাঙ্গালী ভোজের প্যান্ডেল ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
১৪ আগস্ট শনিবার বিকেলে সোনারগাঁও পৌরসভা মাঠে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু অনুগামীদের উদ্যোগে নির্মিত এ প্যান্ডেলে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এসময় চেয়ার টেবিল ও সাঁটানো ব্যানার ভাংচুর ও ছিড়ে ফেলা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোনারগাঁয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পালনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পৃথকভাবে তারা ব্যানার ও ফেষ্টুন সাঁটিয়েছেন।
সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামলীগের আহবায়ক কমিটির ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সারের নেতৃত্বে আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগ ব্যাপক আয়োজন করা হয়। কিন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগকে পাস কাটিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু সমর্থকরা এ দিবসটি উদযাপনের প্রস্তুতি নেন।
এ উপলক্ষে দু’পক্ষই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিলাদ মাহফিল ও গণভোজের জন্য প্যান্ডেল তৈরি করে। সোনারগাঁও পৌরসভার মাঠে শোক দিবস উপলক্ষে আবু জাফর চৌধূরী বিরুর সমর্থক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসাইন ও সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার জন্য প্যান্ডেল নির্মাণ করে।
বিকেলে ওই এলাকা ফাঁকা পেয়ে দুর্বৃত্তরা ওই প্যান্ডেলের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে প্যান্ডেলটি গুড়িয়ে দেয়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সাঁটানো মোগরাপাড়া থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত ৩শতাধিক ফেস্টুন ব্যানার ছিড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আওয়ামীলীগ দল করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে মনে প্রাণে বুকে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়ার প্যান্ডেল ভাংচুর করা ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনার নিন্দা জানাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধূরী বিরু বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি যাদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নেই তারাই এ ধরনের করতে পারে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর মিলাদ মাহফিলে যারা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।