সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২১শে আগস্ট, সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্থদের স্মরণে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আনন্দধামের উদ্যোগে “সন্ত্রাসবাদ দমনে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জের একটি স্থানীয় ইডেন থাই এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিহতের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় ও আহত ক্ষতিগ্রস্থদের এবং তাদের পরিবারের পাশে সহানুভূতির সহিত থাকার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহবান জানানো হয়। পবিত্র কোরান তেলোয়াত, গীতাপাঠ ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুচনা করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রতি বসর ২১ শে আগস্ট বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্থদের স্মরনে এই দিনটি সভা সমাবেশ, সিম্পোজিয়াম ও সেমিনারের মাধ্যমে নাগরিক সচেনতা বৃদ্ধিকল্পে বিশ্বব্যাপী পালন করে থাকে।
আনন্দধামের নবনিযুক্ত মহাসচিব আবদুল মান্নান মিয়ার সঞ্চালনায় পরিচালিত এই অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ যথাক্রমে মতিউর রহমান মুক্তি, বাবু শ্যামল দত্ত, মোঃ শহিদুল্লাহ, ডাঃ মোন্তাসির আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব বিশ্বজিৎ সাহা ও সাংগঠনিক পরিচালক অ্যাডভোকেট শেখ জসীম উদ্দিন ও বিশিষ্ট সমাজসেবিকা নীলা আহমেদ নিশি।
মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আনন্দধামের প্রধান সমন্বয়কারী বাবু রিপন ভাওয়াল। অন্যান্যদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের পরিচালকবৃন্দের মাঝে মাকসুদুর রহমান হিটু, আবদুর রহমান বাচ্চু, মোঃ বাহাউদ্দীন শাহ, মনোয়ারা মানিক আলো, এনামুল হক প্রিন্স আক্তারুজ্জামান দুলু, খোকন গাজী, ডাঃ অমল কৃষ্ণ মন্ডল, অ্যাডভোকেট ইসমাঈল হোসেন, মোতালেব সানি, বিপ্লব ঘোষ, নারায়ণ চন্দ্র, হরিশীল, রতন সাহা, প্রান বল্লব দাস ও রঞ্জিত পোদ্দার প্রমুখ।
হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব নাগরিকদের অবশ্যই সন্ত্রাস দমনে এগিয়ে আসতে হবে নতুবা সন্ত্রাসের কালো থাবা মানব সভ্যতাকে বিলীন করে দেবে।
তিনি বলেন, ২১ শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টা মানব সভ্যতাকে কলঙ্কিত করেছে। আমরা ধিক্কার জানাই এই জঘন্য অপরাধের। আমাদের সমস্ত নাগরিকদের এটা দায়িত্ব যে আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে সন্ত্রাসের হাত থেকে সুরক্ষিত করা ও বিশ্বব্যাপী সরকারগুলুকে সহযোগিতা করা।
মহাসচিব আলহাজ্ব আবদুল মান্নান মিয়া আশাবাদ ব্যক্ত করেন বলেন, আমরা সকল নাগরিক একসাথে কাজ করে সন্ত্রাসমুক্ত এক নতুন নিরাপদ পৃথিবী আগামী প্রজন্মের জন্যে রেখে যাবো।