সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছ্নে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, তিনি রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য অবদানের জন্য তাকে বীব উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল অথচ মহান স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বর্তমান সরকার যে অপপ্রচার করছে তাতে করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে। জিয়াউর রহমান শুধু একটি নাম নয় একটি ইতিহাস। এদেশের মানুষের মন থেকে জিয়াউর রহমানের নাম কোনদিনও মুছে ফেলা যাবে না। আর সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের সমাধি সরিয়ে নেওয়ার দুঃসাহস করলে এই সরকারের পতন কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও কেক কাটার মাধ্যমে পালন করা হয়।
৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া সংলগ্ন একটি চেম্বারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকিরের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
ওই অনুষ্ঠানে সাখাওয়াত হোসেন খান আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সম্মেলন করে সকলের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বর্তমান কমিটিকে নির্বাচিত করেছে। অথচ নির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা বিএনপি’র ভেতরে থেকে সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে কিন্তু তাদের নেই কোনো জনপ্রিয়তা, নেই কোনো নির্ভরযোগ্যতা। তাই তাদের এই চক্রান্ত কোনদিনও সফল হবে না। চলমান করোনা মহামারীর কারণে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বিলম্ব হয়েছিল। তবে খুব শীঘ্রই সকল জাতীয়তাবাদী আইনজীবীগণের সমন্বয়ে একটি সুন্দর কমিটি ঘোষণা করা হবে। আজকের এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে সকলকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মশিউর রহমান শাহীন, ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, আইনজীবী ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট বেনজির আহমেদ, অ্যাডভোকেট কাজী আবদুর গাফফার, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট গোলাম হোসেন, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, অ্যাডভোকেট আলম খান, অ্যাডভোকেট আক্তার খন্দকার, অ্যাডভোকেট মাসুদা বেগম শম্পা, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মোল্লা, অ্যাডভোকেট শামসুল আরেফীন টুটুল, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন সবুজ, অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম বুলবুল, অ্যাডভোকেট কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল, অ্যাডভোকেট জাহিদুল হাসান, অ্যাডভোকেট শারমিন আক্তার, অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথি, অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব গোলাপ, অ্যাডভোকেট শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, অ্যাডভোকেট রাসেল মিয়া, অ্যাডভোকেট মামুন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান, অ্যাডভোকেট মহসীন শেখ, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ফাহিম, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মাসুম, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান, অ্যাডভোকেট দীপু, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে. এম সুমন সহ প্রায় দুই শতাধিক আইনজীবী।
আলোচনা সভা শেষে কেকে কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। পরে দলের প্র্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমালের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এবং দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া পালন করা হয়।