সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জেলা যুবদলের অস্তিত্বই দেখা যায়নি। যদিও গত ১৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ৮ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিটি ঘোষণা করা হলেও কমিটির নেতারা ছিলেন নিষ্ক্রিয়। শুধুমাত্র দুজন নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে দেখা গেলেও বাকি নেতাদের ‘ভাইয়েরা’ ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে তাদের নির্বাচনে ছায়াও দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের পর বিশাল এক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে জাগানিয়া দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল। যে কমিটিতে সক্রিয়দের নিচের পদে রেখে নিষ্ক্রিয়দের রাখা হয় উপরের পদে।
তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেছেন, আমরা প্রায় দুই যুগ পর নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছি। খুব সময়ের মধ্যে আমরা দ্রæত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছি। যেটা আগের কমিটিগুলো পারেনি। ফলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ছোট খাটো ভুলত্রæটি থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে নেতাকর্মীরা ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন বলে আমি বিশ^াস করি।
এদিকে জানাগেছে, ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম নয়ন।
এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের এই দুই নেতা। যেখানে সভাপতি করা হয় শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আমিরুল ইসলাম ইমন, হারুন অর রশিদ মিঠু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন।
শনিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহাল রেখে ১৯জনকে সহ-সভাপতি, ১০জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৩ জনকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, ৯ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও আরও ৫ জনকে সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে রাখা হয়েছে। একজন প্রচার সম্পাদক ও সহ-প্রচার সম্পাদক আরও ৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে রাখা হয়েছে ৭৩ জন যুবদল নেতাকে।
কমিটিতে দেখা গেছে, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের অনেকেই আবার মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত। যেখানে মহানগর যুবদলের আওতাধীন কমিটির বন্দর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান রিপনকে রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পদে। আবার বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদকে রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। এদের ছাড়াও বেশকজন নেতা মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত তাদেরকেও রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের আওতাধীন কমিটিতে। অনেকেই আবার মহানগর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে জড়িত এমন নেতাদেরও রাখা হয়েছে জেলা যুবদলের কমিটিতে।
তবে এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন জেলা যুবদলের আওতাধীন। যে কারনে ওই ৫টি ইউনিয়নের যুবদলের নেতারা স্বাভাবিকভাবেই জেলা যুবদলের কমিটিতে থাকবে।’ মহানগরীর রাজনীতিতে জড়িত এমন নেতাদের কেন জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের রাজনীতিটা করার সুযোগ করে দিতেই জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে।’ তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদের উদাহরণ টেনে বলেন, অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব। সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাও মহানগরীর ভিতরে। তিনিও কিন্তু জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি সে রকমই।’