সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দুর্নীতির অভিযোগে উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল ঢালী সহ ৬জনকে বহিস্কার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে কাজল ঢালীর বিরুদ্ধে বহু জাল-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
আড়াইহাজার উপজেলার দিঘলদী ঢালী বাড়ি এলাকার মোকসেদ আলীর ছেলে এই কাজল ঢালীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে একাধিক মামলাও হয়েছে। একইভাবে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা সহ জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কাজল ঢালীর প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। অবশেষে সেই কাজল ঢালী সহ ৬জনকে বহিস্কার করা হয়।
অন্যদিকে কাজল ঢালী সহ ৬জনকে বহিস্কারের পর বেরিয়ে আসে কাজল ঢালীর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের চিত্র। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ঘুষ দুর্নীতির আখড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিস’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে কাজল ঢালীর জালিয়াতি চক্রের চিত্র তুলে ধরা হয়। এ ছাড়াও আরো একটি ঘটনায় স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক শীতলক্ষ্যায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়াও ২০২০ সালে আড়াইহাজারের চৈতন্যকান্দা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে কাজল ঢালী সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার সিআর মামলা নং ৭৯২/২০।
এর আগে ২০১৮ সালেও নারায়ণগঞ্জ আদালতে কাজল ঢালী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা জাল জালিয়াতির অভিযোগে আড়াইহাজারের কলাগাছিয়া এলাকার কমর আলী ভুঁইয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। যার সিআর মামলা নং ২৩০/১৮।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় আড়াইহাজার উজেলার সাব রেজিস্টার মোঃ কাউছার খান এক চিঠিতে আড়াইহাজারে দুর্নীতির অভিযোগে উপজেলা দলিল লিখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ জনকে বহিষ্কার করার বিষয়টি জানান।
বহিষ্কৃতরা হলো- উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক কাজল ঢালী, দলিল লেখক মো: সাজ্জাদ পারভেজ, মোঃ জাকারিয়া জাকির ও আশরাফুল কবির মানিক।
জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে তৎকালীন সাব রেজিস্ট্রার সফিউল বারী কর্মরত থাকাকালীন সময়ে একটি হেবা বেল এওয়াজ দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এতে ৬ লাখ টাকা সরকার রাজস্ব হারায়। এই ঘটনায় তখন বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরে আসে। তখন দুর্নীতি দমন কমিশন আইজিআরকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। আইজিআর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগ এর রেজিস্ট্র অফিস সমুহের পরিদর্শক শেখ মো: আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করেন এবং চিঠি প্রাপ্তর ১৫ দিনের মধ্যে জবাব জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়।
আড়াইহাজারের সাব রেজ্রিস্ট্রার মো: কাউছার খান স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বুধবার সকাল ১১টায় আমি কর্তৃপক্ষের আদেশ পালন করে অভিযুক্তদের হাতে চিঠি পৌঁছে দেই। এতে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এই ঘটনা আমি যোগদানের অনেক আগের।