সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে এডিশ মশা এবং শীত মৌসুমে কিউলেক্সসহ বিভিন্ন প্রকারের মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে এই মশক নিধনের জন্য লার্ভিসাইড ও এনালটিসাইড ছিটানো হয়ে থাকে।
এছাড়া ফগার মেশিনের মাধ্যমেও মশক নিধনের জন্য ঔষধ ছিটানো হয়। তাতেও মশার বংশবিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না। এমতাস্থায় পূর্ণাঙ্গ মশার প্রাথমিক অবস্থা লার্ভা নির্মূলের জন্য মসকিটন. ১২পি নামের একটি ট্যাবলেটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
১০ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় ১৫নং ওয়ার্ডের বি.দাস রোডস্থ একটি পরিত্যাক্ত ডোবায় এই ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হয়। ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।
উক্ত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা জনাব আলমগীর হিরন, ডাইলপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির নেতা বাবু শংকর সাহা, শরফুদ্দিন আহমেদ, বিকাশ সাহা, নিলা চন্দ্র দাস, স্বপন সাহা, ১৫নং ওয়ার্ড সচিব মোঃ আবুল কালাম প্রমুখ।
এ সময় কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস বলেন, প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১টি মসকিটন. ১২পি ট্যাবলেট প্রয়োগে ২/৩ মাস পর্যন্ত এর কার্যকারীতা থাকবে। এ সময়কালে ঐ স্থানে লার্ভা তৈরী হবে না। ফলে পূর্ণাঙ্গ মশা তৈরীর সম্ভাবনা আর থাকবে না। বাংলাদেশে এই প্রথম লার্ভানাশক স্প্রে কন্ট্রোল গুন সম্পন্ন ট্যাবলেটটি ব্রিটেন থেকে আমদানী করা হয়েছে। খোলা জায়গায় যেখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে বিশেষ করে নির্মানাধীন ভবনের মধ্যে, সেই পানিতে ১০:১ হারে ট্যাবলেট প্রয়োগ করতে হবে। এটি একটি জনস্বাস্থ্য পণ্য। ১৫নং ওয়ার্ডে ৭দিন ব্যাপী এই কর্মসূচী চালাবেন বলে ঘোষনা দেন।
তিনি আরও বলেন, গত সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭,৮৪১ জন। আগস্টে ভর্তি হয়েছে ৭,৬৯৮জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬৭ জন। এই ট্যাবলেটটি ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া ও জিকা রোগের বাহক মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধে সহায়ক। কাজেই এই ট্যাবলেটটির কার্যকারিতা প্রমানিত হলে সিটি কর্পোরেশন ব্যাপক হারে এই ট্যাবলেটটি মশার বংশবিস্তার রোধে প্রয়োগ করবে।