সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের প্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠান হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের উদ্যোগে ও আনন্দধামের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ১৮ অক্টোবর সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন পালিত হয়।
১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে ‘বঙ্গবন্ধু ভবনে’ শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন।
দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিলো কোরান খানি, শেখ রাসেল সহ ৭৫ এর শহীদের জন্যে বিশেষ দোয়া, প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটা, আলোচনা ও উপস্থিত অভ্যাগতদের দুপুরের খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।
হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের অন্যতম পরিচালক ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের রাজধানী ব্রাসেলসে বসবাসকারী বাঙালী কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মোঃ আরিফুল হক মিন্টু।
আনন্দঘন পরিবেশে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তারা শেখ রাসেলকে প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের মাঝে তুলে ধরতে চেস্টা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অটিজম পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক শিক্ষয়িত্রী বৃন্দ্র, বিশিষ্ট সমাজসেবক মজিবুর রহমান মজনু, আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুক্তি, ডাঃ মোন্তাসির আহমেদ, মাকসুদুর রহমান হিটু, আবদুর রহমান বাচ্চু, মোঃ আলী, মোক্তার হোসেন, আলআমিন রাব্বি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মাঝে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা হাসিনা রহমান সিমু বলেন, যদিও আমরা শেখ রাসেলকে বাঁচাতে পারিনি কিন্তু তিনি আমাদের ভালবাসার অশ্রুতে সঞ্জীবিত থাকবেন চিরকাল। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা তাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরো বলেন, শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা বিশ্ব মানবতাকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিলো।
সম্মানিত অতিথি আরিফুল হক মিন্টু তার বক্তব্যে বলেন, শেখ রাসেলকে হত্যার দায় আমরা এড়াতে পারিনা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের উপর বক্তব্য রাখেন। সবশেষে ৭৫ এর শহীদের জন্যে দোয়া করা হয় ও কেক কেটে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে হাসিনা রহমান সিমুর পক্ষ থেকে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়।