‌‌‌’সেদিন শিশু শেখ রাসেলের বুকে গুলি করে তাকে বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করেছিল’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু বলেছেন, কুমিল্লা ঘটনাটি ঘটিয়েছে ইবলিশ আর শয়তানরা। মানুষ কখনো এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র ও অস্থিরশীল করার জন্য এমন ঘটনা চেস্টা করে গেছে। তারা পারে নাই সৃষ্টি কর্তা কারণে। কারণ শয়তান সৃষ্টিকর্তার সাথে পারে না। সৃষ্টিকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাথে আছে, বলে এমন ঘটনা কিছু করতে পারে নাই তারা। আগেও অপরাধীরা বাংলাদেশ-কে অস্থিরশীল করেছিল। যারা বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক শক্তিতে পরিণত করেছিল। যারা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করছে। তারাই গুজব ছড়িয়ে কুমিল্লা, ফেণী ও নোয়াখালীতে অশান্ত করেছে। এসব থেকে আপনারা সাবধান থাকবেন। কোন গুজবে কান দিবেন না।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা হত্যাকারী সেই ফারুক রশীদরা এবং দেই পাকিস্তানের দোসররা ভেবেছিল যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে। আসলে ওরা জানত না বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। সে ১৯৭৫ সালের নৃশংস হত্যাকান্ডে শেখ রাসেলকে যখন ফজরের আযান হচ্ছিল তখন তাকে দুই তলা থেকে এক তলায় নামিয়ে আনছিল তখন সে বলছিল আমি আমার পিতার পরিচয় দেব না, আমি বলব না আমি বঙ্গবন্ধুর ছেলে। তোমরা আমাকে হত্যা করো না। সেদিন সে ঘাতকদের বুক একটুও কাপেনি। শিশু রাসেলের বুকে গুলি করে তাকে বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করেছিল।

সাজনু আরো বলেন, আল্লাহর রহমতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতয় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শেষ করেছে। তিনজন খুনী এখনও পলাতক আছে। আজকে শেখ রাসলের জন্মদিনে আনি দাবী রাখব সে খুনীদের যেন বাংলাদেশে এনে তাদের বিচার কার্যক্রম শেষ করা হয় পাশাপাশি ৭১ সালে যে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও আড়াই লক্ষ মা বোন ইজ্জত দিয়েছিল তাদের জন্য দোয়া কামনা করি। বঙ্গবন্ধু বেগম ফজিলাতুন্নেছা ও শেখ রাসেল সহ যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের সকলের জন্য দোয়া কামনা করি।

১৮ অক্টোবর সোমবার বাদ আসর হযরত আবু বকর সিদ্দিকা রা. জামে মসজিদে (হাজীগঞ্জ মসজিদ) শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের আয়োজনে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

মিলাদ ও দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুর ইসলাম শাহিন, ইউসুফ মেম্বার, চঞ্চল মাহমুদ, সেলিম, ইকবাল হোসেন, শাহজালাল প্রধান, মজিবুর রহমান, গোলাম শরিফ, আরমান, এবিএম সাইফুল হাসান রিয়েল, স্বপন, মনির, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। মিলাদ পড়ান মসজিদের ইমাম মুফতি ইমরান হোসেন।