সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দলবল নিয়ে রাস্তায় নিরীহ অটো চালক ও অটোযাত্রীদের উপর ক্ষমতার দাপটে হামলা চালিয়েছে জাকির হোসেনের সন্ত্রাসী বাহিনী। অটোরিক্সার যাত্রী আলামিনকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। জখমে ৬টি সেলাইও পড়েছে। কিন্তু উল্টো মামলা হলো জাকির হোসেন বাহিনীর পক্ষে। যে মামলায় রক্তাক্ত জখম আহত আলামিনই হয়ে গেলো আসামি! বাদী পক্ষের কাউকেই দেখা যায়নি আহত কিংবা জখম হতে। অথচ তাদের মামলা গ্রহণ করে রক্তাক্ত জখম আলামিনের মামলা গ্রহণ করা হয়নি।
জামায়াত ইসলাম ও হেফাজতে ইসলামের অন্যতম পৃষ্ঠপোষকতার অভিযুক্ত, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত পোস্টার ছেড়া ও মহাজোটের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর মামলার আসামি নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে হিস্র আচরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি শুরু করেছেন। মুলত সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনিত হয়েই জোরপূর্বক জয়ের জন্য হিস্র হয়ে ওঠেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। অহেতুক সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে নির্বাচনে আতংক সৃষ্টি করতে নিরীহ মানুষদের নির্যাতন শুরু করেছে জাকির হোসেন বাহিনীর লোকজন।
একই সঙ্গে অটোচালক ও অটোযাত্রীদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বেদম নির্যাতন চালিয়ে উল্টো রাজনৈতিক লেভাস দিয়ে প্র্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সায়েম আহমেদ ও তার আত্মীয়-স্বজন এবং তার লোকজনের নামে মিথ্যা হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর আরও অভিযোগ- জাকির হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে যখন দেখতে পেলো ভোটের মাঠে তার জয় নিশ্চিত নয় তখন প্র্রতিদ্বন্ধি শক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদের লোকজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমুলক মামলা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে একা খালি মাঠে জোর করে জয় ছিনিয়ে নিতে জাকির হোসেন অসহায় নিরীহ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, গত ২২ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে আলীরটেক এলাকায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেনের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আলীরটেক ইউনিয়নের গুঞ্জুকুমারীয়া এলাকা থেকে জাকির হোসেন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা যাওয়ার পথে কুড়েরপাড় ব্রীজে যানজট থাকায় অটোরিক্সা চালক ও অটোর যাত্রীদের মারধর শুরু করে।
ওই সময় অটোযাত্রী কুড়েরপাড় এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আলামিন অটোরিক্সা চাপাতে বলা মাত্রই জাকির হোসেন বাহিনীর সন্ত্রাসী আবদুর রহমান সহ ৭/৮ জন আলামিনকেও মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা সেভেন আপের বোতল ভেঙ্গে আলামিনের পেটে আঘাত করতে গেলে আলাামিন হাত দিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন।
ওই সময় ভাঙ্গা সেভেন আপের বোতলের আঘাতে আলামিনের হাত রক্তাক্ত জখম হয়। একই সময় সন্ত্রাসীরা উপর্যুপুুরি আলামিনকে মারধর করতে থাকলে আলামিন মাটিয়ে লুটিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আশপাশের লোকজন এসে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আলামিনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে আলামিনের হাতে ৬টি সেলাই দেয়া হয়। পরবর্তীতে আলামিন সদর মডেল থানায় গুঞ্জকুমারীয়া এলাকার আব্দুল গণির ছেলে আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখ করে আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু আহত আলামিনের অভিযোগে মামলা গ্রহণ করেনি পুলিশ। হামলাকারীদের পক্ষে মামলা গ্রহণ করে আহত রক্তাক্ত জখম আলামিনকেও আসামি করা হয়।
এই ঘটনার একদিন পর পুলিশের রহস্যকজনক ভুমিকায় ভিন্ন অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদ, তার আত্মীয়-স্বজন ও তার লোকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। সদর থানা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়দারী এসএম সালেহ আহামেদ খোকন একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ তুলেন- চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদের নেতৃত্বে জাকির হোসেনের কর্মীসভায় বাধা দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। অথচ অটো যাত্রী আলামিনকে মারধর করেছিল জাকির হোসেনের লোকজন। আর ওই ঘটনার দেড় ঘন্টা পর সায়েম আহমেদ তার বাড়ি আলীরটেক কুড়েরপাড় যান।
এই ঘটনার বিষয়ে স্থানীদের আরও অভিযোগ, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেন এলাকায় আতংক সৃষ্টি করতেই তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটিয়েছে। মুলত প্রভাব বিস্তারের লক্ষেই জাকির হোসেনের সন্ত্রাসীরা যানজটের অজুহাতে অটোচালক ও অটোযাত্রীদের মারধরের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এমন ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো জাকির হোসেন সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে জোর করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চাইছে। কারন জাকির হোসেন চেয়েছিলেন এই নির্বাচনে তিনি বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যাবেন। এখানে শক্ত প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেন সেটা করতে পারেনি। যে কারনে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে প্র্রভাববিস্তারের জন্য জাকির হোসেন নিরীহ মানুষের উপর সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।