সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে এখানে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। নির্বাচনে মজিবুর রহমান নৌকাপ্রতীক পেলেও তার সঙ্গে নেতাকর্মীদের তেমন একটা জোরালো অবস্থান দেখা যাচ্ছেনা। নির্বাচনের আগেই যেনো পরাজয় গ্রহণ করেছে নৌকা।
স্থানীয়রা জানান- গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্র্রার্থী ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কাদির ডিলার। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিশাল অংশের নেতাকর্মীরা সরাসরি জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের পক্ষ নেয়। যে কারনে বিশাল ব্যবধানে মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।
এবারের নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান বর্তমান চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে আবারো চেয়ারম্যান পদে দেখতে চাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মাকসুদ হোসেনকে সমর্থন ঘোষণা করেন। এরপর আওয়ামীলীগের কোনো শক্তিশালী প্রার্থী এখানে নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেনি। তারা ধরে নিয়েছেন গত নির্বাচনের মত এবার এখানে নৌকা ডুবানো হবে।
তবে নামকাওয়াস্তে একজন নৌকার প্রার্থী তো দিতেই হবে- এমন মনোভাব থেকে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের নাম কেন্দ্রে প্রস্তাব করে। মজিবুর রহমানের নাম প্রস্তাবের শুরুতেই অনুমেয় এখানে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে ওয়ার্কওভার দিতে যাচ্ছে আওয়ামীলীগ।
এমনটা বুঝতে পেরে মুছাপুরে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব নেই। গত নির্বাচনের মত এবারের নির্বাচনেও আওয়ামীলীগের সিংহভাগ নেতাকর্মীরা সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আওয়ামীলীগের যেসব পদধারী নেতাকর্মী রয়েছেন তারা এখনও নৌকার পক্ষেই নাই। নৌকার প্রার্থী মজিবুর রহমান নৌকা প্রতীকের আওয়াজও তুলতে পারেনি। এলাকায় এলাকায় ঘুরলেও তার সঙ্গে হাতে গোনা ১০/১২ জনের বেশি দেখাও যাচ্ছেনা। এমন পরিস্থিতিতে নিশ্চিত পরাজয়ের পথে নৌকা।