মেয়ে মানুষ,
আলাদা করে কে দিয়েছে
এই নাম তোমায়?
আজ এই নাম শুনলে
তোমার খুব কান্না পায় বুঝি?
কি মনে হয় তোমার শুনে…
এ নাম দিয়ে সমাজ
তোমায় কাঁদাচ্ছে, পোড়াচ্ছে,
জ্বলাচ্ছে প্রতিবেলা।
নাকি শুনে মনে হয়
এই নামটা কোন কারাগারের,
যার কথা শুনলেই তুমি ভাবো
এই বুঝি দম বন্ধ করে মারবে তোমায়।
চুপ কেন…, কি ভাবচ্ছো তুমি,
খুব সত্যি বলে ফেল্লাম কি!
খুব দূর্বল লাগছে নিজেকে?
নাকি আমার কথাতেও আজ
তোমার অস্বস্তি!
তোমায় এই নামটা খুব কষ্ট দেয় বুঝি!
পুুরুষেরা ছোট করে কি তোমায়?
এই বলে যে….তুমি মেয়ে মানুষ,
তুমি পারবে না
তোমার যে বারণ অনেক,
আর সেই বারণগুলো ডিঙ্গাতে গেলেই,
তুমি হয়ে যাও খারাপ, উগ্র, নির্লজ্জ
চলে যাও সমাজের বাইরের
মানুষগুলোর তালিকায়।
ও মেয়ে, তুমি কাঁদছো কেনো?
আমার কথায়…
কেন এত অশ্রু ঝরছে তোমার দু’চোখে
কিছু তো বলো…
আহ্! কিছুই বলবে না তোহ্…
তাহলে কাঁদবেও না, একটুও না,
একদম না…
তুমি শুনো আমার কথা
তুমি বলো, তুমি বলতে শেখো…
বলো…, তুমি জন্ম দাও পুরুষকে,
যে পুরুষেরা নারীকে দূর্বল ভাবে আজ।
তুমি জম্ম দাও সে পুরুষকেও,
যে কিনা উরু টান করে
কথা বলে বীরের মতন…
যে নারী বীরের জন্ম দিতে সক্ষম
সে কিভাবে দূর্বল হয় বলো?
যারা আজ নারীকে দুর্বল ভেবে
কটাক্ষ্য করে….
দমিয়ে রাখতে চায়, পিছিয়ে দিতে চায়
ওরা তো নির্বোধ, ওরা মূর্খ,
ওরা জানে না কিছুই।
ওরা মাতৃগর্ভে জন্মায়নি,
ওরা জন্মিয়েছে ওদের মতন
কোন এক কাপুরুষের শুক্রাণুতে,
আর যদি তাই হয়
তবে তুমি বলো,
তুমি সভ্য, আমি সভ্য
সভ্য নারীরা সমাজের বাইরের কেউ নয়,
তুমি আরো বলে দাও
বরং ওদের মতো কাপুরুষেরা
অস্তিত্বের বাইরের সত্তা,
নারীর চোখে।
রচনাকাল: ২৪ মার্চ ২০১৯